শাশুড়ির মৃত্যু কামনা করে মন্দিরের প্রণামী বাক্সে ২০ টাকার নোট?

ব্যুরো নিউজ,১৮ জানুয়ারি:মন্দিরে প্রণামী দেওয়ার ঘটনা সাধারণ হলেও, এক ভক্তের ২০ টাকার নোটে লেখা প্রার্থনা রীতিমতো সবার চোখ কপালে তুলেছে। এমনকি সেই প্রণামী নোটে মৃত্যুকামনা করার মতো একটি লেখা দেখে হতবাক হয়েছেন মন্দিরের পুরোহিতরা। সেখানে লেখা ছিল, ‘ভগবানের দয়ায় আমার শাশুড়ির মৃত্যু হোক!’ এমনটা দেখে চমকে উঠেছে অনেকেই। মন্দিরের প্রণামী বাক্সে সাধারণত টাকা বা অন্যান্য দানপত্র পাওয়া যায়, কিন্তু এই ধরনের লেখা নোট পাওয়া বেশ বিরল।

কলকাতায় নতুন আইটি হাবঃ RedoQ গ্রুপের অফিস উদ্বোধন, কর্মসংস্থানের নতুন সম্ভাবনা

অপ্রত্যাশিত ঘটনা

কর্ণাটকের ভাগ্যবন্তী দেবীর মন্দিরে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। মন্দিরে নির্দিষ্ট সময় পর প্রণামী বাক্স খালি করা হয়। এর মধ্যে কখনও গয়নাগাটি, শাড়ি, চিঠি কিংবা অন্যান্য জিনিসপত্র পাওয়া যায়। কিন্তু কোনো টাকার নোটে মৃত্যুকামনা লেখা—এমন ঘটনা সত্যিই অবাক করার মতো। সেই ২০ টাকার নোটের পিছনে যে লেখা ছিল, সেটি একেবারে অপ্রত্যাশিত। নোটে লেখা ছিল, ‘আমার শাশুড়ির দ্রুত মৃত্যু হোক!’পুরোহিতরা জানান, এই ধরনের প্রার্থনা অত্যন্ত নিম্নরুচির। কারও মৃত্যুকামনা করা পাপের সমান, তা আবার মন্দিরের মতো পবিত্র স্থানে গিয়ে দেবতার কাছে! তবে কিছু মানুষ এমন মন্তব্যও করেছেন, যে ব্যক্তি এই প্রার্থনা করেছেন, হয়তো সে খুব কষ্টে আছেন। অনেক সময় মানুষ এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েন যে, মৃত্যু তাদের কাছে এক প্রকার মুক্তি হয়ে দাঁড়ায়। তাই পরিবারের সদস্যরা কখনও কখনও মনে মনে এমন প্রার্থনা করেন যাতে তাদের কষ্টের অবসান হয়।

বিসিসিআই-এর কড়া নির্দেশিকা: ঘরোয়া ক্রিকেটে না খেললে, আইপিএলে নির্বাসন!

এদিকে, মন্দিরের এই ঘটনার পর পুরোহিতরা বারবার সতর্কতা দিয়েছেন, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন ধরনের অবমাননাকর প্রার্থনা দেবতার কাছে না নিয়ে আসে। যেকোনো ধরনের প্রার্থনা বা প্রণামী দেবালয়ে নিয়ে যাওয়ার আগে সবাইকে আরও বেশি চিন্তাশীল হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর