ব্যুরো নিউজ, ১৫ মে : ১০ মে থেকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়। পাকিস্তানে আর্থিক পরিকাঠামো কার্যত ভেঙে পড়েছে। আর এই আর্থিক সংকট থেকে বেরতে পাক সরকার ‘বলির পাঠা’ বানিয়েছে সাধারণ মানুষকেই। কার্যত আর্থিক সঙ্কট কাটাতে জনগণের উপরেই চাপানো হয়েছে বিপুল করের বোঝা। এই অতিরিক্ত করের বোঝা, মূল্যবৃদ্ধিও পাশাপাশি বিদ্যুৎ সঙ্কটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করেছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ। এর আগেও একাধিকবার পাক সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেমেছে সেখানকার মানুষ।
অনুপ্রবেশকারী নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দাগলেন শাহ
নিত্য় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ক্রমবর্ধমান দাম। সেই সঙে খাদ্য ও জ্বালানি সংকট। আর এই অবস্থায় গত কয়েকদিন ধরে সরকারের বিরোধিতা করে পথে নেমেছে সেখানকার আম জনতা। আর তার জেরে বন্ধ দোকান – বাজার। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় রুদ্রমূর্তি ধারন করে পাক সরকার। পাক আধা-সামরিক বাহিনী গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। আর তাতেই মৃত্যু হয় তিন জনের। গুরুতর আহত হয় আরও কয়েকজন।
Violent Clashes in Pakistan Occupied Kashmir Leave Three Dead, Spark Protests pic.twitter.com/C4CG9HKGd8
— WarpaintJournal.in (@WarpaintJ) May 14, 2024
এদিকে সে দেশের সংবাদ সংস্থা তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, উত্তেজিত জনতা পাক রেঞ্জারদের ১৯ গাড়ির কনভয়ে হামলা চালায়। মুজফ্ফরাবাদে পৌঁছতেই সেই কনভয় লক্ষ করে পাথর হামলা চালায় আন্দোলনকারীরা। এমনকি আধাসামরিক বাহিনীর গাড়িগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনা মোকাবিলায় পাক রেঞ্জাররাও কাঁদানে গ্যাস ও গুলি করে। আর তাতেই মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।
এরআগেও পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে সেখানকার মানুষ পথে নামলে, বিক্ষোভকারী সাধারণ মানুষের উপরে চড়াও হয় পাক-পুলিশ। এমনকি বিক্ষোভ ঠেকাতে কাঁদানে গ্যাস ও লাঠিচার্জও করা হয়। সেই ঘটনায় দুইজন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয় বলে খবর। এছাড়াও আহত বহু। এমনকি বিক্ষোভকারী- সহ বিক্ষভে নেতৃত্ব দিয়েছেন এমন বহু নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনায় আজাদির স্লোগান দিতে শোনা যায় বিক্ষভকারীদের। এছাড়াও ভারতের সমর্থনে ওঠে পোস্টার।