poila baishak

ব্যুরো নিউজ,৩ এপ্রিলঃ বাংলা ক্যালেন্ডারের প্রথম দিন, পয়লা বৈশাখ, বাঙালিদের জন্য শুধুমাত্র একটি নতুন বছরের সূচনা নয়, বরং ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও আনন্দের এক মহোৎসব। এটি প্রতিবছর এপ্রিলের মাঝামাঝি পালিত হয় এবং পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের বাঙালিরা অত্যন্ত ধুমধাম ও উচ্ছ্বাসের সাথে এই দিনটি উদযাপন করে। পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে সময় কাটানো, নতুন পোশাক পরা, সুস্বাদু খাবার খাওয়া এবং হালখাতা করার মতো নানা ঐতিহ্য এই উৎসবকে আরও বিশেষ করে তোলে।

Today’s gold rate: দিনে দিনে সোনা রুপোর দাম মধ্যবিত্তের সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে,সেখান থেকে সামান্য স্বস্তি মঙ্গলবারে

পয়লা বৈশাখের গুরুত্ব ও উদ্দেশ্য

পয়লা বৈশাখের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অসীম। মুঘল সম্রাট আকবর ১৫৮৪ সালে এই বাংলা সাল চালু করেন, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল কৃষিভিত্তিক কর ব্যবস্থা সহজতর করা। নতুন অর্থবর্ষ শুরু হওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা এই দিনে হালখাতা বা নতুন হিসাব খাতা খোলেন, যেখানে পুরনো দেনা পরিশোধের পাশাপাশি নতুন ব্যবসার সূচনা হয়। তাই এটি বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। ধর্মীয় এবং সামাজিক দিক থেকেও এই দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা লক্ষ্মী ও গণেশের পূজা করেন, যাতে নতুন বছর সমৃদ্ধি এবং শান্তি বয়ে আনে। কৃষিকাজের ক্ষেত্রে, এটি ফসল কাটার মৌসুমের সূচনা হওয়ায় প্রকৃতির উপাসনা করা হয়। বাংলার বহু অঞ্চলে মেঘ, জল এবং শস্যদেবতার পূজা করা হয়, যাতে চাষাবাদ সফল হয়।

মালদায় বাংলাদেশি নাগরিকদের হোটেল ভাড়া না দেওয়ার সিদ্ধান্ত

খাবারের ক্ষেত্রে, পয়লা বৈশাখ মানেই বাঙালি ভোজনের উৎসব। সকালে ভেজানো ভাত, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ ও ভাজা মাছ খাওয়ার প্রথা রয়েছে। দুপুরের খাবারে থাকে সুস্বাদু ভেজ পোলাও, মাছের নানা পদ এবং শেষে মিষ্টির মধ্যে চালের পায়েশ। এসব খাবার শুধু পেট ভরায় না, মনকেও খুশি করে।

এই নববর্ষ শুধু আনন্দ নয়, বরং বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ। এটি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে একত্রিত করে, সম্প্রীতির বার্তা দেয়। তাই আসুন, পয়লা বৈশাখকে আমরা আরও উৎসাহ, আনন্দ এবং ভালোবাসার সঙ্গে উদযাপন করি এবং নতুন বছরে সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করি!

লখনউয়ের ‘সুপার জায়ান্টস’ নামেই! মাঠে তারা শুধুই ছায়া?

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর