ব্যুরো নিউজ, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ : মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘X’-এ একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের বাসভবন লক্ষ্য করে হামলার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “রুশ ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টের বাসভবনে হামলার খবরে আমি গভীরভাবে চিন্তিত। যুদ্ধ বন্ধ করতে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় বর্তমান কূটনৈতিক প্রচেষ্টাই সবচেয়ে কার্যকর পথ। আমরা সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে এই প্রচেষ্টায় মনোনিবেশ করতে এবং এমন কোনো পদক্ষেপ এড়িয়ে চলার আহ্বান জানাচ্ছি যা শান্তি প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।”
রাশিয়ার অভিযোগ: ৯১টি ড্রোন ও ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস’
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ দাবি করেছেন, রবিবার গভীর রাতে ইউক্রেনীয় বাহিনী নোভগোরোদ অঞ্চলে অবস্থিত পুতিনের রাষ্ট্রীয় বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন ছুড়েছে। লাভরভ একে ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস’ হিসেবে অভিহিত করে জানান, রুশ আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী সবকটি ড্রোন ধ্বংস করেছে এবং কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে এই ঘটনার পর রাশিয়া শান্তি আলোচনার ক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থান ‘পুনর্বিবেচনা’ করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
ইউক্রেনের প্রত্যাখ্যান: ‘রাশিয়ান মিথ্যা’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং ‘বানোয়াট’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর মতে, ইউক্রেনের ওপর বড় ধরনের হামলার অজুহাত খুঁজতে এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে চলমান শান্তি আলোচনাকে ভেস্তে দিতেই মস্কো এই মিথ্যে গল্প সাজিয়েছে। জেলেনস্কি বলেন, “রাশিয়া সবসময়ই কূটনীতিকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করে। আমরা এমন কোনো পদক্ষেপ নিই না যা শান্তি প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।”
ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া ও শান্তি আলোচনার ভবিষ্যৎ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, পুতিন নিজেই তাঁকে ফোন করে এই হামলার কথা জানিয়েছেন। ট্রাম্প এই ঘটনায় ‘ক্ষোভ’ প্রকাশ করলেও পরে স্বীকার করেন যে, এমন হামলা আদতে না-ও ঘটে থাকতে পারে। বর্তমানে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে, যা প্রায় ৯৫ শতাংশ চূড়ান্ত হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এই চুক্তিতে ইউক্রেনের জন্য ১৫ বছরের নিরাপত্তা গ্যারান্টির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।



















