ব্যুরো নিউজ,২৪ সেপ্টেম্বর:রবিবার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই বৈঠকে গাজা অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মোদী জানান, ভারত সবসময় গাজায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফেরাতে প্যালেস্টাইনের পাশে থাকবে। সামাজিক মাধ্যমে আব্বাসের সঙ্গে এই বৈঠক সম্পর্কে তথ্য শেয়ার করে মোদী লেখেন, ‘প্যালেস্টাইনের জনগণের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বকে আরও দৃঢ় করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
বিজেপির মহিলা মোর্চার ‘শুদ্ধিকরণ’ অভিযান;রাজ্যজুড়ে থানাগুলির পবিত্রতা রক্ষার দাবি
ভারতের বিদেশমন্ত্রী কি বলেছেন?
প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে নিউ ইয়র্কে কোয়াড বৈঠকে যোগ দিয়েছেন।বৈঠকের পরে তিনি একাধিক আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। গত বছর গাজা অঞ্চলে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব রাষ্ট্রপুঞ্জে উত্থাপন করা হলে, ১২০টি সদস্য রাষ্ট্র এর পক্ষে ভোট দেয়। কিন্তু ভারত প্যালেস্টাইন-ইসরায়েল যুদ্ধের ইস্যুতে ভোটদানে বিরত ছিল। হামাসের সন্ত্রাসবাদের কঠোর নিন্দা করে ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেন, ‘ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে।কারণ আমরা সন্ত্রাসবাদের শিকার।’গত সপ্তাহে রাষ্ট্রপুঞ্জে ইজরায়েলের দখলদারির বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হলে, ভারত তাতে ভোট দেয়নি। তবে কূটনৈতিক মহল মনে করছে, নয়াদিল্লি ক্রমশ ‘একপেশে’ অবস্থান থেকে সরে গিয়ে ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন প্রশ্নে ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে।রাষ্ট্রপুঞ্জের গত বছরের ভোটের পর জেনেভা পরিষদে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি অরিন্দম বাগচী বলেছেন, ‘ভারত প্যালেস্টাইনের জনগণকে সহায়তা করবে দ্বিপাক্ষিক উন্নয়নমূলক অংশীদারির মাধ্যমে এবং মানবিক সমর্থন অব্যাহত রাখবে।’ তিনি আবারও পুরনো অবস্থানকে প্রতিধ্বনিত করে বলেন, ‘প্যালেস্টাইন সঙ্কটের জন্য দ্বিরাষ্ট্রিক সমাধানকে ভারত সমর্থন করে। আর কোনও বিকল্প নেই। এই সমাধানের পথে যত বাধা আছে, তা এখনই মোকাবিলা করতে হবে, নাহলে সমস্যার সমাধান হবে না।’
পুজোর আগেই চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় তুলসীর তেলেই জাদু
মোদী ও আব্বাসের মধ্যে বৈঠকে মানবিক সহায়তার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতের এই মানবিক সমর্থনের ফলে প্যালেস্টাইন অঞ্চলে মানুষের জীবনযাত্রা উন্নত করার আশ্বাস মিলতে পারে, যা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পৌঁছাবে।ভারত-ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন সম্পর্কের এই নতুন দিক এবং কূটনৈতিক সংলাপের প্রেক্ষাপটে, মোদীর এই উদ্যোগ বিশ্বমঞ্চে ভারতের ভূমিকা এবং দায়বদ্ধতাকে আরও জোরদার করবে।