ব্যুরো নিউজ,২৫ মার্চ : পায়েল নাগ—একটি নাম, যা এখন সাহস, অধ্যবসায় এবং জয়ের প্রতীক। মাত্র ১৭ বছর বয়সী এই মেয়ে এমন এক ইতিহাস গড়েছেন, যা বিশ্বে প্রথমবার ঘটেছে। জাতীয় প্যারা তীরন্দাজি চ্যাম্পিয়নশিপে ডাবল সোনা জিতে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কখনও ইচ্ছাশক্তির সামনে বাধা হতে পারে না।
শেষ ওভারে থ্রিলার! হরলিন দেওলের দুর্দান্ত ইনিংসে গুজরাতের নাটকীয় জয়
পায়েলের জীবনের গল্প শুরু হয় এক কঠিন পরীক্ষার মাধ্যমে। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে ১১,০০০ ভোল্টের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনি দুই হাত ও দুই পা হারান। সমাজের চোখে তখন তিনি ‘অসাহায়’। কেউ কেউ বলেছিল, “ওকে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে কেন?” কিন্তু পায়েল দমে যাননি। বরং তিনি নতুন করে বাঁচার পথ খুঁজতে থাকেন।
চৈত্র মাসে পালিত হয় নবরাত্রি ! কোথাও মা দুর্গার দর্শন পেতে পারেন জানুন
একদিন, মুখ দিয়ে আঁকা তার একটি পেইন্টিং-এর ভিডিও ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওই বদলে দেয় তার জীবন। কোচ কুলদীপ বেদওয়ানের নজরে পড়েন পায়েল। এরপর তিনি জম্মুর মাতা বৈষ্ণো দেবী শাইন আর্চারি একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ পান। সেখানে শুরু হয় এক নতুন অধ্যায়—তীরন্দাজ হওয়ার পথচলা।
পাঞ্জাব বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু, আপ সরকারকে তীব্র আক্রমণ বিরোধীদের
অবশেষে সেই ছোট্ট মেয়েটিই আজ ভারতের জাতীয় প্যারা তীরন্দাজি চ্যাম্পিয়নশিপে নিজের আইডল শীতল দেবীকে পরাজিত করে শিরোপা জিতেছেন। পায়েলের লক্ষ্য এখন আরও বড়—দেশের জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সোনা জেতা।তার এই অবিশ্বাস্য জয়ের গল্প আমাদের শেখায়, প্রকৃত জয় শরীরের শক্তির নয়, বরং মনের জেদ ও আবেগের। শারীরিক সীমাবদ্ধতা কোনো বাধা নয়, যদি মনের জোর থাকে।আমরা সবাই পায়েল নাগের অসাধারণ সাহস, সংকল্প এবং অর্জনকে স্যালুট জানাই। তার মতো মানুষই আমাদের শেখায়—অসম্ভব বলে কিছু নেই!