ব্যুরো নিউজ,২৬ ফেব্রুয়ারি :চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজন নিয়ে আবারও সমালোচনা শুরু হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি, ২৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে বাতিল হয়ে যায়, এবং তার পরপরই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফ।মঙ্গলবার খেলা শুরুর আগে থেকেই বৃষ্টি শুরু হয় এবং মাঠের অনেক জায়গায় জল জমে যায়। এদিকে, টসও পিছিয়ে যায়, কিন্তু খেলার শুরুর সময় পর্যন্ত বৃষ্টির মধ্যে আংশিক আশা ছিল যে খেলা শুরু হতে পারে।
তিন দশক ধরে লাগাতার ধর্ষণ করেছে ৩০০ শিশু রোগীদের। অভিযোগ শল্য চিকিৎসকের বিরুদ্ধে
লজ্জার বিষয়
এক দিনের ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী, যদি ২০ ওভারের খেলা সম্ভব হয়, তাহলে ম্যাচ হতে পারে। তবে, বৃষ্টির কারণে আম্পায়ারের পর্যালোচনার পর জানা যায়, পুরো মাঠ যথাযথভাবে প্রস্তুত না হওয়ায় খেলা সম্ভব হয়নি। সেই কারণে, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা দুটি দলই ১ পয়েন্ট করে পেয়ে যায়।এই ঘটনার পর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের আয়োজন নিয়ে সমালোচনা শুরু করেছেন কাইফ। তিনি তার সোশ্যাল মিডিয়া পেজে প্রশ্ন তুলেছেন, “রাওয়ালপিন্ডির পুরো মাঠ কেন ঢাকা হয়নি? এটা লজ্জার বিষয়।
এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ শুধু মাঠ ঢাকার কারণে বাতিল হলো। পুরো মাঠ ঢাকার পয়সা নেই তাদের? আইসিসি থেকে পাওয়া টাকা কোথায় ব্যবহার করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড?”কাইফের বক্তব্যে এক বড়ো সত্য বেরিয়ে আসে, যেখানে তিনি বলেন যে এখন বিশ্বের বিভিন্ন বড় মাঠে বৃষ্টির সময় উন্নত জলনিকাশি ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়। উদাহরণ হিসেবে তিনি ভারতের কলকাতা ও বেঙ্গালুরুতে থাকা ইডেন গার্ডেনস এবং চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের কথা উল্লেখ করেন, যেখানে বৃষ্টির পর আধ ঘণ্টার মধ্যে খেলা শুরু হয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, “যদি পুরো মাঠ ঢাকা থাকে, তাহলে আউটফিল্ডে জল জমতে পারে না, আর বৃষ্টি থামলে তাড়াতাড়ি খেলা শুরু করা যায়।”
তিন দশক ধরে লাগাতার ধর্ষণ করেছে ৩০০ শিশু রোগীদের। অভিযোগ শল্য চিকিৎসকের বিরুদ্ধে
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো বড় প্রতিযোগিতায় এই ব্যবস্থা থাকা অত্যন্ত জরুরি, যা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কাছে অনুপস্থিত বলে মনে করেন তিনি।এই ঘটনায় বোঝা যায়, প্রতিযোগিতার আয়োজকদের দায়িত্ব যে শুধু মাঠে খেলা আয়োজনে নয়, বরং মাঠের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং দ্রুত খেলা শুরু করার ব্যবস্থা তৈরি করাও অতীব গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সামনে এই ধরনের উন্নত ব্যবস্থা গ্রহণের এখনই সময় এসেছে, যাতে ভবিষ্যতে বৃষ্টির কারণে কোনো খেলা বাতিল না হয়।