ব্যুরো নিউজ ৭ আগস্ট ২০২৫ : আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত বুধবার বলেছেন, আজকের সংঘাতপূর্ণ বিশ্বে হিন্দু ধর্মের প্রয়োজন, কারণ এটি একটি সর্বজনীন ধর্ম যা বৈচিত্র্যকে কীভাবে গ্রহণ ও পরিচালনা করতে হয় তা শেখায়। ধর্ম জাগরণ ন্যাসের নতুন ভবনের উদ্বোধনে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বৈচিত্র্যকে গ্রহণ ও পরিচালনার শিক্ষা
ভাগবত বলেন, “আজ সমগ্র বিশ্বের এই ‘ধর্ম’-এর প্রয়োজন। বিশ্ব জানে না কীভাবে তার বৈচিত্র্য পরিচালনা করে বাঁচতে হয়, আর তাই এত সংঘাত চলছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “এই ধর্ম ঐক্য এবং সমস্ত বৈচিত্র্যকে গ্রহণের শিক্ষা দেয়। আমরা সমস্ত বৈচিত্র্যকে গ্রহণ করি। আমরা ভিন্ন নই কারণ আমরা বৈচিত্র্যময়, এই ধর্মই আমাদের এই শিক্ষা দেয়।” তিনি বলেন যে, এটি একটি সর্বজনীন ধর্ম, কিন্তু যেহেতু হিন্দু ( ভারত) ভূমিতে এই ধর্মের জন্ম , তাই এর নাম হয়েছে ‘হিন্দু ধর্ম’।
সমাজের প্রতি ধর্মীয় কর্তব্য ও আত্মত্যাগ
ভাগবত আরও বলেন, ধর্মের কর্তব্য শুধু ঈশ্বরের প্রতি নয়, সমাজের প্রতিও। ভারতের ইতিহাসে ধর্মের জন্য অনেক আত্মত্যাগের উদাহরণ রয়েছে। তিনি বলেন, “ধর্মের জন্য মাথা কেটে ফেলা হয়েছে, কিন্তু কেউ ধর্ম ত্যাগ করেনি। আপনারা সবাই ‘ছাভা’ ছবিটি দেখেছেন। এই সমস্ত (ত্যাগ) আমাদের লোকেরাই করেছে। তারা আমাদের জন্য একটি উদাহরণ।”
তিনি উল্লেখ করেন যে, সাধারণ মানুষও এই ধরনের ত্যাগ স্বীকার করেছে, কারণ তারা বিশ্বাস করে যে “আমাদের ধর্ম সত্যের উপর ভিত্তি করে এবং পৃথিবীর চূড়ান্ত সত্য হলো যে আমরা সাধারণভাবে ভিন্ন দেখালেও, আমরা সবাই এক।”
অন্যান্য ধর্মীয় পথকে সম্মান
ভাগবত বলেন যে, হিন্দু ধর্ম আরও শেখায় যে বিভিন্ন ধর্মের পথ এক গন্তব্যে নিয়ে যায়, তাই কাউকে জোর করে অন্য পথ পরিবর্তন করতে বাধ্য করা উচিত নয়। বস্তুত সনাতন ধর্মে ৯টি দর্শন বিদ্যমান যা গোটা মানব বিস্বে সমস্ত মতের জন্মদাতা প্রত্যক্ষ বা পরক্ষ ভাবে ।
ভবিষ্যৎ কর্মসূচি
সূত্রের খবর অনুযায়ী, আরএসএস ২৬, ২৭ এবং ২৮ অগাস্ট দিল্লিতে তিন দিনের একটি বক্তৃতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন মোহন ভাগবত। এই অনুষ্ঠানে প্রধান বিরোধী দলগুলোকেও আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। এই বছর বিজয়াদশমীতে, আরএসএস তাদের প্রতিষ্ঠার ১০০ বছর পূর্ণ করবে। এই উপলক্ষে দেশজুড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও প্রচার কর্মসূচি চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে।