ব্যুরো নিউজ, ৪ নভেম্বেরঃ অনলাইনে ভাইফোঁটা উদ্যাপন এখন আর নতুন নয়। ঋদ্ধিমার ভাই কর্মসূত্রে বিদেশে থাকার কারণে, বিশেষ এই ভাইফোঁটার দিনে ভাইকে পাশে বসিয়ে ফোঁটা দেওয়া অনেক বছর ধরেই সম্ভব হয়নি। তবে গত দু’বছর এই আনন্দ কিছুটা কাছ থেকে ভাগ করে নিতে পেরেছেন তিনি। এ বছরও সকাল সকাল ভাইকে অনলাইনে ফোঁটা দিয়েছেন ঋদ্ধিমা। বললেন, ‘দেশে এখন রাত। ভাই ঘুমিয়ে পড়বে। তাই সকালেই ফোঁটা দিয়ে নিয়েছি।’ প্রতিবছর ভাইফোঁটায় ভাইকে কাছে চাইতে সব বোনের মতোই মন চায় ঋদ্ধিমারও। কিন্তু দূরে থেকেও তিনি খুশি। তার কথায়, ‘যাদের ভাই নেই, তাদের মনখারাপ দেখেছি। তাই দূরে থাকলেও ভাই ভাল থাকুক, সেটাই চাওয়া।’
ভাইফোঁটার দিন বালুরঘাটে পর পর দুই রহস্যমৃত্যু, এলাকায় চাঞ্চল্য
‘একটা উপহার দেয়নি’
ঋদ্ধিমা ও তার ভাইয়ের মধ্যে আড়াই বছরের ফারাক। এই ছোট বয়সের ফারাক তাদের সম্পর্ককে আরও বন্ধুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। তিনি বলেন, ‘এই বন্ধুত্বটাই আমাদের জীবনের বড় উপহার। ফোঁটার মধ্য দিয়ে সেই বন্ধন আরও গাঢ় হয়।’ আক্ষেপের সুরে হাসতে হাসতে ঋদ্ধিমা জানান, ‘ভাই আমাকে আজও ফোঁটার একটা উপহার দেয়নি!’ তবে তিনি নিজে প্রতি বছর ভাইকে অনলাইনে উপহার পাঠান। কলকাতায় এলে তো কথাই নেই—তার সব আবদার পূরণ করেন।
কলকাতার ঐতিহ্য রক্ষায় ভাইফোঁটার ফোঁটা পেল ট্রাম
কলকাতায় ঋদ্ধিমার আরও তিন ভাই আছেন, অভিনেতা ইন্দ্রাশিস রায় ও তার ভাই চন্দ্রাশিস রায়, স্বামী গৌরব চক্রবর্তীর ছোটবেলার বন্ধু। তাদেরকেও নিয়ম করে ফোঁটা দেন। ছেলেবেলার কথা স্মরণ করে বলেন, ‘ছোটবেলায় পুজোর ছুটি কাটত মামাবাড়িতে। তখন সবাই মিলে আনন্দ করতাম।’ অনলাইনে ফোঁটা দিয়েও পুরোনো রীতিগুলি মেনে চলেন ঋদ্ধিমা। ধান-দূর্বা দিয়ে ভাইকে আশীর্বাদ করেন, আর ভাইও প্রণাম করে। এবছর লাড্ডু খেয়ে ভাইকে দেখিয়েছেন তিনি। দূরে থেকেও তাদের সম্পর্ক যেন আরও মজবুত হয়ে উঠেছে।