ব্যুরো নিউজ,৬ ডিসেম্বর:গোহত্যা রোধে অসমের পর এবার কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে ওড়িশা সরকার। ইতিমধ্যেই রাজ্যের আইনমন্ত্রী পৃথ্বিরাজ হরিচন্দন জানিয়েছেন সরকার গোহত্যা রোধে নতুন আইন আনতে সক্রিয়। এমনকি চলতি বিধানসভা অধিবেশনে এই বিষয়ে প্রাইভেট বিল আনা হতে পারে।ওড়িশার প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী গোকুলানন্দ মল্লিক বলেছেন ‘গোহত্যা বা গো-মাংস সংক্রান্ত কোনো ঘটনা জানলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ যদিও ওড়িশায় ১৯৬০ সালের আইন অনুসারে গোহত্যা নিষিদ্ধ তবে বিশেষ ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হয় যেমন ১৪ বছরের বেশি বয়সি বলদের ক্ষেত্রে। আইন লঙ্ঘনে বর্তমানে ২ বছরের কারাদণ্ড বা ১০০০ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
হিন্দু ঐক্যের ডাকঃ “আমাকে সাম্প্রদায়িক বললে, আমি হাজারবার সাম্প্রদায়িক হতে রাজি”
বিধিনিষেধ আরোপের চেষ্টা
গত চার বছরে রাজ্যে ২০০টিরও বেশি গরু পাচার এবং গো-মাংস পাচারের ঘটনা ধরা পড়েছে। পুলিশের রিপোর্ট বলছে এই সময়কালে গো-মাংসকে কেন্দ্র করে ২৩০টি সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটেছে।অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন যে রাজ্যে রেস্তোরাঁ, হোটেল এবং পাবলিক প্লেসে গরুর মাংস পরিবেশন এবং খাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আগে শুধুমাত্র মন্দিরের কাছাকাছি এলাকায় এই নিষেধাজ্ঞা ছিল যা এখন পুরো রাজ্যে প্রসারিত হয়েছে।অসম সরকারের এই পদক্ষেপ রাজ্যজুড়ে আলোড়ন তুলেছে যার প্রভাব পড়তে পারে ওড়িশাতেও। ওড়িশার আইনমন্ত্রীও জানিয়েছেন গবাদি পশুর সংখ্যা বৃদ্ধি এবং গোহত্যা বন্ধে একাধিক উদ্যোগ নিতে চায় সরকার।
বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের উপর থেকে সাসপেনশন প্রত্যাহারঃ আইএমএর কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত
বিজেপি নেতা প্রতাপ চন্দ্র ষড়ঙ্গি আগে থেকেই দাবি করে আসছেন রাজ্যে বিদ্যমান আইন আরও কঠোরভাবে প্রয়োগ করা উচিত। তবে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হলে নতুন আইন কতটা কার্যকর হবে।ওড়িশার পরিকল্পনা এবং অসমের পদক্ষেপ ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনীতি ও বিতর্ক। সমর্থকরা বলছেন এ ধরনের উদ্যোগ সাম্প্রদায়িক সংঘাত কমাতে সাহায্য করবে। অন্যদিকে বিরোধীদের মতে এটি খাদ্যাভ্যাসের উপর বিধিনিষেধ আরোপের চেষ্টা।