ব্যুরো নিউজ,২৩ আগস্ট:পশ্চিমবঙ্গ সরকার ওবিসি তালিকা নিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তেই অটল রইল। ৭৭ টি শ্রেণীকে ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। আর এই ৭৭ টি শ্রেণির মধ্যে ৭৫ টি শ্রেণী মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত। আর এই ওবিসি তালিকা তৈরি করার প্রক্রিয়ার বিষয়টিকে খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
RG Kar case: কোথায় লুকিয়ে রহস্য? নির্যাতিতার সঙ্গে ডিনার ৪ চিকিৎসকের,গোপন জবানবন্দি চাইছে সিবিআই
সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা রাজ্যের:
আরজি কর কান্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয়কে বাঁচাতে এগিয়ে এলেন কে?গণপ্রতিবাদের মুখে কোন যুক্তিতে লড়বেন আদালতে?
হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে। সেখানে গত ৫ আগস্ট প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে হলফনামা পেশের নির্দেশ দেয়। ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ৭৭ টি শ্রেণীকে (৭৫ টি শ্রেণী মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত) OBC তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার যে প্রক্রিয়া, তা বিস্তারিত জানাতে বলে শীর্ষ আদালত। এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আবেদন করতে হয়। তারপরে জনসংখ্যা, শ্রেণী, বসবাসের স্থান, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং আর্থিক পরিস্থিতির মতো বিভিন্ন তথ্য দিতে হয়। ২০১২ সালের আগে কমিশনের সদস্যরা সমীক্ষা চালাতেন। এরপর থেকে রাজ্য সরকারের কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট সমীক্ষা চালায়। রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন তথ্য কমিশন খতিয়ে দেখে। সমীক্ষায় কি কি উঠে এসেছে তাও খতিয়ে দেখা হয়।
এবার সেই আবেদন যদি গ্রহণ করা হয়, তাহলে সুপারিশ যায় রাজ্যের মন্ত্রিসভার কাছে। অনুমোদন পাওয়ার পর সরকারি গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ওই শ্রেণিকে ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এবার জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি মুসলিম শ্রেণীর ক্ষেত্রে, যেমন, হাজারী, কাজী, লায়েক এর মত শ্রেণীর ক্ষেত্রে আবেদনের আগেই সমীক্ষা করা হয়ে যায়। আর মুসলিম শ্রেণীর ক্ষেত্রে ওবিসি তালিকাভুক্ত করার প্রক্রিয়াটি ২৪ ঘন্টার কম সময়ে করা হয়েছে বলে পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্বীকার করে নিয়েছে।