ব্যুরো নিউজ, ২ ফেব্রুয়ারি: বুধবার জমি সংক্রান্ত মামলার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঝারখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের রাঁচির বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকেরা। এরপর দীর্ঘ ৭ ঘণ্টা জেরা করার পড়ে তিনি রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে তার তার ইস্তফাপত্র জমা দেন। তারপর তাকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ওই সংস্থা। এরপর ঝারখণ্ডের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে উঠে এসেছিল চম্পাই সোরেনের নাম। তবে, বুধবার থেকে শুরু করে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত, এই সময়কালে ঝাড়খণ্ডে কোন সরকার ছিল না। অবশেষে ২৪ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরে, ঝাড়খণ্ড পেলো নতুন মুখ্যমন্ত্রী।
শুক্রবার ঝাড়খণ্ডের নতুন মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হলেন চম্পাই সোরেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শুক্রবার শপথ নিলেন। চম্পাই সোরেন সরকার গঠনের জন্য রাজ্যপালের কাছে দরবারও করেন বলে জানা গিয়েছে। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, এতে প্রাথমিকভাবে সে রাজ্যে যে টালবাহানা চলছিলো তার অবসান ঘটেছে। বিধায়ক বেচাকেনা ও অপারেশন লোটাস সহ একাধিক বিষয়ে জল্পনা শুরু হওয়ার পরে তার সমর্থিত বিধায়কদের তিনি অন্য স্থানে সরিয়ে দেন।
অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে রাজ্যপালের তরফ থেকে আমন্ত্রণপত্র আসে তার কাছে। জানা গিয়েছে, ঝারখণ্ডের বিধানসভা আসন ৮১। তার মধ্যে ম্যাজিক ফিগার ৪১। উল্লেখ্য, শাসক জোটের কাছে মোট ৪৭ জন বিধায়ক রয়েছে। গ্রেফতারির কারণে হেমন্ত বিধানসভার ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
বর্তমানে চম্পাইয়ের সঙ্গে রয়েছেন মোট ৪৩ জন বিধায়ক। বাকি ৪ বিধায়ক সম্পর্কে মুখ খোলেনি জোট। সুত্রের খবর, আগামী ১০ দিনের মধ্যে বিধানসভায় চম্পাই সোরেনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে। ইভিএম নিউজ