ব্যুরো নিউজ ২০ জুন : ওহ, বাংলাদেশ! গণতন্ত্রের এক নতুন সংজ্ঞা লিখছে এই দেশটি। যেখানে অনির্বাচিত, বিদ্রোহী অন্তর্বর্তী সরকার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে তার ‘শুদ্ধি অভিযান’ চালিয়ে যাচ্ছে। আর এই অভিযানের সর্বশেষ শিকার? স্বয়ং সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এবং একুশে পদকপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ শামসুল আলম। কারণ? কারণ আর কি! নিশ্চয়ই তাঁর অর্থনীতি বিষয়ক ভাবনা ড. ইউনূসের ভাবনার সাথে মিলছিল না! বিধির বিধান বটে, একজন বিশ্বনন্দিত অর্থনীতিবিদ, যিনি নিজেও পশ্চিমা বিশ্বের ‘প্রিয়পাত্র’ এবং নোবেলজয়ী, তিনিই কিনা নিজের দেশের একজন স্বনামধন্য অর্থনীতিবিদকে গ্রেফতার করছেন!
একুশে পদকপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদের ‘অপরাধ’
৭৫ বছরের শামসুল আলম, যিনি অর্থনীতিতে অবদানের জন্য দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ‘একুশে পদক’ পেয়েছেন, ৩৫ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েছেন, এবং শেখ হাসিনার আমলে পরিকল্পনা কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন—তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে ঢাকা পুলিশ এখনো মুখ ফুটে কিছু বলতে পারছে না। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার নাসিরুল ইসলাম অবশ্য বলেছেন, “তিনি মিন্টো রোডের ডিবি অফিসে আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে একটা মামলা আছে, আদালতে তোলা হবে।” আহা রে! কী মামলা, কিসের মামলা, সেটা বলা যাবে না। গণতন্ত্রের নতুন নীতি বুঝি!
বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি ভারত: ছাড়াল জাপানকে
আওয়ামী লীগের ‘শিকার’ তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে
মনে হচ্ছে, ড. ইউনূসের সরকার আওয়ামী লীগ নেতাদের একটা ‘শিকার’ তালিকা বানিয়েছে। বুধবারও বেশ কয়েকজন নেতাকে রিমান্ডে নিয়ে ‘জিজ্ঞাসাবাদ’ করা হয়েছে।
- জাফর আলম: সাতটা মামলায় ১৮ দিনের রিমান্ড! বাহ, একবারে কেল্লা ফতে!
- আনিসুল হক ও মোশাররফ হোসেন: সাবেক আইন ও গণপূর্তমন্ত্রীরাও যথাক্রমে পাঁচ ও তিন দিনের রিমান্ড পেয়েছেন। ভাবখানা এমন, যেন মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করাটাও এখন অপরাধ!
- তুরিন আফরোজ: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এই সাবেক প্রসিকিউটরকে নাকি ‘কথিত হত্যা’ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। কতো নাটক!
শুধু তাই নয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধেও নাকি হুলিয়া জারি হয়েছে। মানে, গণতন্ত্রের নামে যা খুশি তাই!
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার চরম নিদর্শন
বিশ্লেষকরা বলছেন, এটা অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোরতর রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। আগস্টে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর পরই ‘ভিত্তিহীন’ সব অভিযোগে মামলা ঠুকে দেওয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনার এই হঠাৎ বিদায়টা বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রের জন্য একটা ‘বড় ধাক্কা’ ছিল। আর এই অন্তর্বর্তী সরকার কট্টরপন্থী ইসলামিক সংগঠনগুলোকে আশ্রয় দিয়ে আরও সমালোচিত হয়েছে। মানে, একজন বিশ্ববরেণ্য অর্থনীতিবিদ, যিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, তিনিই কিনা নিজের দেশের আরেকজন নামকরা অর্থনীতিবিদকে গ্রেফতার করছেন, কারণ তাদের ‘দৃষ্টিভঙ্গি’ মেলে না। কী হাস্যকর! আর এই পুরো নাটকে গণতন্ত্র মুখ লুকিয়ে কাঁদছে। কে জানে, হয়তো ড. ইউনূসের মনে হয়েছে, অর্থনীতিতে তিনিই একমাত্র সেরা, আর বাকিরা সব ভুল!