ব্যুরো নিউজ, ২১ সেপ্টেম্বর :ভারত ও আমেরিকার মহাকাশ দখলের প্রতিযোগিতায় নতুন একটি পদক্ষেপ হল ‘নিসার (NISAR)’ স্যাটেলাইট। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO এবং আমেরিকার মহাকাশ সংস্থা NASA-এর সহযোগিতায় নির্মিত এই স্যাটেলাইটটি ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে উৎক্ষেপিত হতে চলেছে। তবে, নিসার স্যাটেলাইট আসলে কী এবং এর উদ্দেশ্য কী? আসুন, বিস্তারিত জানি।
ডেলিভারি কর্মীরা বছরে কত উপার্জন করেন? তা জানলে আপনি আবাক হবেন
নিসার স্যাটেলাইটের উদ্দেশ্য
নিসার স্যাটেলাইটটি একটি সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডার (SAR) প্রযুক্তিতে তৈরি আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট। এর মূল উদ্দেশ্য হলো পৃথিবীর বিভিন্ন বন, জলাভূমি ও অন্যান্য বাস্তুতন্ত্রের বিশ্লেষণ করা। NASA-এর জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি অনুযায়ী, বন এবং জলাভূমি প্রাকৃতিকভাবে গ্রিনহাউস গ্যাস তৈরি করে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
পুজোর আগে শরীরের মেদ ঝরাতে শসার উপকারিতা
উৎক্ষেপণের পর, নিসার প্রথমে তার কক্ষপথে পৌঁছে যাবে এবং এরপর প্রতি ১২ দিনে পৃথিবীর ভূমি ও বরফের পৃষ্ঠ স্ক্যান করতে শুরু করবে। স্যাটেলাইটটি যে ডেটা সংগ্রহ করবে, তা থেকে বিজ্ঞানীরা কার্বনের নির্গমন এবং শোষণের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবেন।
হৃতিক রোশনের বয়স ৫০! দেখে কেউ বলবে?
বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, জঙ্গলে গাছের কাঠ এবং জলাভূমির মাটিতে প্রচুর পরিমাণে কার্বন জমা হয়। যদি এই সঞ্চিত কার্বনে কোনো ধরনের ব্যাঘাত ঘটে, তবে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড বা মিথেনের মতো গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। নিসার স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে পরিবেশের অবস্থার উপর নজর রাখতে পারবেন।নিসার স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা শুধু পরিবেশের অবস্থাই নয়, বরং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং সংশ্লিষ্ট নীতিগুলি গঠনে সহায়ক তথ্যও পাবেন। এই উদ্যোগ ভারত ও আমেরিকার মহাকাশ গবেষণায় নতুন একটি যুগের সূচনা করবে।