নির্যাতিতার মুখে চাঞ্চল্যকর তথ্য
ব্যুরো নিউজ : দুর্গাপুর মেডিকেল কলেজের ছাত্রী ধর্ষণকাণ্ডে নয়া মোড়! এবার মুখ খুলেছেন নির্যাতিতা নিজেই। হাসপাতালের বেডে শুয়ে মঙ্গলবার বিকেলে তিনি তদন্তকারী অফিসারদের সামনে যেভাবে ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন, তাতে রীতিমতো চমকে গিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। নির্যাতিতার দাবি, ওই রাতে তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতন চালান সহপাঠী ওয়াশিফ আলি। ঠিক সেই সময়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তিন দুষ্কৃতী। তাঁরা টাকা দাবি করে ও পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ওয়াশিফ পালিয়ে যায়। অসহায় নির্যাতিতা তখন সম্ভ্রম রক্ষায় দৌড় শুরু করেন, কিন্তু দুষ্কৃতীদের হাত থেকে রেহাই পাননি। তাদের একজন তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
নির্যাতিতার বয়ান ঘিরেই ঘুরে যায় তদন্তের গতি। মঙ্গলবার রাতেই সহপাঠী ওয়াশিফকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার আদালতে তোলা হলে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাস্থলের পরিধি আরও বাড়ানো হয়েছে, কারণ তদন্তে উঠে এসেছে ধস্তাধস্তি ও পালানোর চেষ্টার প্রমাণ।
নির্যাতিতার বাবার বক্তব্য, “আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মায়ের মতো শ্রদ্ধা করি। মেয়ের ন্যায়বিচারই আমার একমাত্র চাওয়া।” পুলিশ জানায়, নির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতেই ওয়াশিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রান্নাঘরে এই উপাদান গুলি দিয়ে বানিয়ে ফেলুন ফেসপ্যাক
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহের কালিয়াচকের বাসিন্দা ওয়াশিফের পরিবার বেশ প্রভাবশালী। তাঁর বাবা আনিসুর রহমান স্থানীয় পঞ্চায়েতের কংগ্রেস সদস্য ছিলেন। ফলে অভিযুক্তের সামাজিক প্রভাব নিয়েও তদন্তে সতর্ক পুলিশ।
ঘটনার নয়া মোড় এখন জনমনে ক্ষোভ ও উদ্বেগ বাড়িয়েছে। নির্যাতিতার সাহসী জবানবন্দি একদিকে যেমন তদন্তে গতি এনেছে, তেমনই সমাজের সামনে তুলে ধরেছে নারী নিরাপত্তা নিয়ে ভয়াবহ বাস্তবতার চিত্র।