ব্যুরো নিউজ,৫ ডিসেম্বর:চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)-এর অধীনে নেপাল এবার পূর্ণ চুক্তিতে সই করেছে। সাত বছর আগে ২০১৭ সালে এই প্রকল্পে অংশ নেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও সম্প্রতি বেজিংয়ে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির চারদিনের সফরে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সম্পন্ন হয়। এই চুক্তিতে রাস্তা নির্মাণ, পরিবহণ ব্যবস্থা উন্নয়ন এবং আর্থিক সহায়তার মতো নানা বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তালিবান সরকারের নয়া সিদ্ধান্তে আফগান নারীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার, রশিদ-নবি ফুঁসছেন ক্ষোভে
জল্পনা শুরু
ভারতকে এড়িয়ে এই চুক্তি হওয়ায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। দীর্ঘদিন ধরে নেপালের রাজনৈতিক বিভাজনের কারণে একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প থমকে ছিল। তবে এবার কাজ বাস্তবায়নে নেপাল কতটা এগোতে পারে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।চিন ইতিমধ্যেই নেপালে একাধিক প্রকল্পে অর্থ লগ্নি করছে। পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণেও চিনের অর্থায়ন রয়েছে। এই প্রকল্পে ২১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ দেওয়া হয়েছে। বেজিং একে কূটনৈতিক সাফল্য বললেও বিমানবন্দরের কার্যকরী সমস্যাগুলি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
আরজি কর ইস্যুর পরও শাসকদলের জয়, জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট কি বললেন?
নেপালের এই পদক্ষেপ ভারতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। ভারত-নেপাল সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে গভীর হলেও সম্প্রতি নেপালের চিনঘেঁষা অবস্থান কূটনৈতিক মহলে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিআরআই প্রকল্পে নেপালের সক্রিয়তা ভারত-নেপাল সম্পর্কের ভবিষ্যৎ দিশা কী হতে পারে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।