ব্যুরো নিউজ ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ : ভারতের দ্রুততম ট্রেনের কথা উঠলে এতদিন রাজধানী বা শতাব্দী এক্সপ্রেসের নামই সবার আগে মনে পড়ত। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ভারতীয় রেলের ছবি বদলেছে। বর্তমানে দেশের দ্রুততম ট্রেন কোনো প্রচলিত এক্সপ্রেস নয়, বরং দিল্লি-মিরাট রিজিওনাল র্যাপিড ট্রানজিট সিস্টেম (RRTS) করিডোরে চলমান আধুনিক ‘নমো ভারত’। এই ট্রেনটি ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা সর্বোচ্চ গতিতে চলে, যা এটিকে বর্তমানে ভারতের দ্রুততম ট্রেন হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
এর আগে, ২০১৬ সালে চালু হওয়া গতিমান এক্সপ্রেস ছিল ভারতের প্রথম সেমি-হাই-স্পিড ট্রেন, যা হজরত নিজামুদ্দিন এবং আগ্রার মধ্যে ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে চলত। পরে বন্দে ভারত ট্রেনও এই সর্বোচ্চ গতিতে চলতে শুরু করে। তবে, ২৪ জুন, ২০২৪ তারিখে রেল মন্ত্রণালয় কোনো নির্দিষ্ট কারণ না দেখিয়েই বন্দে ভারতের সর্বোচ্চ গতি ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা থেকে কমিয়ে ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা করে দেয়। বর্তমানে, ভারতীয় রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সমস্ত ট্রেন সর্বোচ্চ ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিসীমার মধ্যে চলে।
নমো ভারত ট্রেনের রুট এবং পরিষেবা
বর্তমানে, পূর্ব দিল্লির নিউ অশোক নগর এবং উত্তর প্রদেশের মিরাট সাউথের মধ্যে ৩০টি নমো ভারত ট্রেন চলাচল করছে। প্রতিটি ট্রেনে ছয়টি কোচ রয়েছে এবং প্রতিটি স্টেশন থেকে ১৫ মিনিটের ব্যবধানে ট্রেনটি চলাচল করে। রুটের নির্দিষ্ট কিছু অংশে ট্রেনগুলি কয়েক সেকেন্ডের জন্য ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে চলে।
ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিওন ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনসিআরটিসিএল)-এর কর্মকর্তাদের মতে, পুরো করিডোরটি দিল্লির সরাই কালে খান থেকে উত্তর প্রদেশের মোদিপুরম পর্যন্ত ১৬টি স্টেশনের মধ্য দিয়ে ৮২.১৫ কিলোমিটার দূরত্বে সংযোগ স্থাপন করবে।
দিল্লি-মিরাট যাত্রায় যুগান্তকারী পরিবর্তন
এনসিআরটিসিএল জানিয়েছে, একবার পুরো করিডোরটি সম্পূর্ণ হলে, নমো ভারত ট্রেনগুলি দিল্লিকে ঐতিহাসিক শহর মিরাটের সাথে যুক্ত করবে। এই যাত্রা এক ঘণ্টারও কম সময়ে সম্পন্ন হবে, যা যাত্রীদের সময় বাঁচাবে এবং সংযোগ বৃদ্ধি করবে। কর্মকর্তারা বলেছেন যে, “দিল্লির সরাই কালে খান থেকে উত্তর প্রদেশের মোদিপুরম পর্যন্ত ১৬টি স্টেশন সহ পুরো ৮২.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ করিডোরটি শীঘ্রই চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।” এই পরিষেবা যাত্রীদের জন্য বিশ্বমানের আরাম ও সুবিধা নিশ্চিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।