ব্যুরো নিউজ, ৮ এপ্রিল: দুই তরুণী গভীর রাতে পানের দোকানে দাঁড়িয়ে ধূমপান করছিলেন। এক যুবক হা করে দেখছিলেন সেই দৃশ্য। তাঁকে খুন হতে হল সেই অপরাধে। এলাকা জুড়ে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নাগপুরে। নাগপুরের মহালক্ষ্মী নগরে ঘটেছে ঘটনাটি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়শ্রী পানঝাড়ে ও তাঁর বন্ধু সবিতা সায়রে ওই এলাকার একটি পানের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ধূমপান করছিলেন রাতের বেলা।
দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের সামনে তৃণমূলের ধর্না ঘিরে বিক্ষোভ
এলাকা জুড়ে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নাগপুরে
রঞ্জিৎ রাঠোড় নামে এক ব্যক্তি সেই সময়েই দোকানে সিগারেট কিনতে আসেন। কিন্তু সিগারেট কেনা হয়ে যাওয়ার পরেও তিনি দোকানে দাঁড়িয়ে তাকিয়েছিলেন জয়শ্রীদের দিকে। জয়শ্রীরা রঞ্জিতের আচরণে অস্বস্তি বোধ করায় প্রতিবাদ জানান। এরপর দুই পক্ষই জড়িয়ে পড়ে তর্কাতর্কিতে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রঞ্জিতের দিকে জয়শ্রী সিগারেটের ধোঁয়া ওড়ান ঝগড়ার সময়ে। সেই ঘটনার ভিডিও তুলতেই চরমে ওঠে দুপক্ষের বিবাদ। জয়শ্রী সঙ্গে সঙ্গেই এক বন্ধুকে ডেকে পাঠান আকাশ রাউত নামে। তিনি এসে ফের ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন রঞ্জিতের সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত আকাশ নামের ওই ব্যক্তি ধারাল অস্ত্র দিয়ে রঞ্জিতকে বারংবার কোপ মেরে পালিয়ে যান। দুই তরুণীও চলে যান ঘটনাস্থল ছেড়ে।
এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে খবর পেয়ে। রঞ্জিৎকে হাসপাতালে পাঠানো হয় আহত অবস্থায়। কিন্তু তাঁর মৃত্যু হয় চিকিৎসা চলাকালীনই। ওই পানের দোকানের মালিক লক্ষ্মণ তাওড়ে এই ঘটনার অন্যতম প্রধান সাক্ষী। কিন্তু তিনি এই প্রসঙ্গে জানান, তিনি দোকান বন্ধ করে চলে গিয়েছিলেন জয়শ্রী বন্ধুকে ফোন করার সময়ই। পরে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে সবিতা, আকাশ ও জয়শ্রীকে গ্রেপ্তার করে।