ব্যুরো নিউজ,২০ সেপ্টেম্বর:জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের বৈঠকের পর নবান্নের পক্ষ থেকে হাসপাতালগুলির চিকিৎসা পরিকাঠামো এবং চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা বিষয়ক একগুচ্ছ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে অন্যতম হলো প্রতিটি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ‘প্যানিক বাটন’ বসানোর উদ্যোগ, যা জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত সাহায্য পাওয়ার জন্য কার্যকরী হবে।
দেশের হয়ে খেলার জন্য ৪২ লক্ষ টাকা চেয়েছেন!টেনিস খেলোয়াড় সুমিত নাগাল
নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের দাবি উঠেছে
সরকারি হাসপাতালগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি করতে ইন্টারনাল কমপ্লেন্টস কমিটি এবং অন্যান্য কমিটিগুলিকে সচল রাখা হবে। রাজ্য সরকার নিশ্চিত করেছে, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা যেন কোনভাবে খামতি না থাকে। এ উদ্দেশ্যে, কেন্দ্রীয়ভাবে একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যা দ্রুত হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কার্যকরী হবে।আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষাপটে রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের দাবি উঠেছে। জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে সরকারের দুই দফায় বৈঠকের পর এই নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানিতে ডাক্তাররা হাসপাতালের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নানা দাবী উত্থাপন করেন, যার মধ্যে বিশ্রামকক্ষ, শৌচালয়, সিসি ক্যামেরা এবং অভিযোগ গ্রহণের ব্যবস্থার বিষয় ছিল।মুখ্যসচিবের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, হাসপাতালগুলোর চিকিৎসক, নার্স এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত পুলিশকর্মী মোতায়েন করতে হবে। বিশেষ করে মহিলা পুলিশকর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাতে প্রতিটি হাসপাতালে স্থানীয় থানার পুলিশের টহলদারি দল রাখার কথাও বলা হয়েছে।
আরজি কর কাণ্ড: ইডি ও সিবিআইয়ের তদন্ত জোরদার
রাজ্য সরকার হাসপাতালগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে এবং আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে সেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করার আশ্বাস দিয়েছে। আগামী ২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীর দিন থেকেই বাংলায় শুরু হবে দুর্গাপুজো, তাই উৎসবের আগে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চলছে।সরকারি হাসপাতালগুলিতে শয্যা সংখ্যা, পানীয় জলের ব্যবস্থা এবং রোগীদের অভিযোগ জানানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণ করার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এই উদ্যোগগুলো কার্যকরী হলে আগামী দিনগুলোতে রোগীদের জন্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত হবে বলে আশা করা যায়।