photo

ব্যুরো নিউজ, ৬ সেপ্টেম্বর: গত ৯ আগস্ট কলকাতা আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও তারপর খুন হয়ে যাওয়া মহিলা চিকিৎসকের তথ্য লোপাট করতে ঘর ভেঙ্গে দেওয়ার ছক কষে ছিল ওই হাসপাতালেরই তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। কিন্তু কেন ওই ঘটনাস্থল এভাবে বিকৃত করার চেষ্টা হল সে ব্যাপারে কোনরকম মুখ খুলতেই চাইনি সন্দীপ। বরং সন্দীপ ও তার দলবল প্রথম থেকেই বলে আসছিল যে ওই ঘর ভাঙ্গার বিষয়ে তারা কিছুই জানতেন না। পরবর্তীকালে সিবিআই তদন্তের সামনে খুলে যায় মুখোশ। একটি নোটিস কে কেন্দ্র করে তোলপাড় পড়ে যায়। দেখা যায় ওই নোটিশে সই করেছিলেন সন্দীপ ও তার অনুগত কয়েকজন মেডিকেল মাফিয়া। যারা ওই হাসপাতালে কর্তা ব্যক্তি হিসেবে ছড়ি ঘোরাত । নথি থেকে দেখা যায় ওই নির্মাণ ভাঙতে  সম্মতি দিয়েছিলেন খোদ স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম ও স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েক।

বিধানসভায় আগুন ঝরানো প্রতিবাদ শুভেন্দুর

ঘটনার দিনেই কেন ভাঙ্গা হল দেওয়াল?

প্রশ্ন উঠেছে ওই মৃতা চিকিৎসকের খুনের ও ধর্ষণের অকুস্থল যে জায়গাটিতে দেখানো হচ্ছে তা নাও হতে পারে। তবে ওই ঘটনাস্থল থেকে যাতে কোন তথ্য নথি বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট ,পায়ের চাপ না পাওয়া যায় তার জন্য ভেঙে দেওয়া হয়েছিল দেওয়াল। কেন ঘটনার পরেই দেয়াল ভাঙ্গা হল তার যথাযথ যুক্তি দিতে পারেনি সন্দীপ। তবে সিবিআই জেরার মুখে ভেঙে পড়েছে সন্দীপ। জানা গিয়েছে যেদিন ওই চিকিৎসক তরুণী খুন হয়ে যায় সেদিন দেওয়াল ভাঙ্গা হলেও সেই দিনই বৈঠক হয় যেখানে আরজি করের মিনিটস ও পূর্ত দপ্তর কে লেখা চিঠি প্রকাশিত হয়েছে। সেখানেই সংস্কার চেয়ে ওই বৈঠকে দেওয়াল ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত হয়। সেখানেই বেড়েছে সংশয়। সন্দীপ পূর্ত দপ্তরে সিভিল এবং ইলেকট্রিক্যাল দুই বিভাগেই চিঠি লিখেছিলেন যাতে ওই দেওয়াল ভেঙে সেখানে চিকিৎসকদের ডিউটি রুম এবং শৌচালয় সংস্কার করা হয়।

দেবের গলায় বিদায়ের সুর

এই নথি সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠেছে যে কেন চার তলার সেমিনার রুমের পাশে ওই ঘটনা স্থলের কাছেই দেওয়াল ভাঙ্গা হল। সিবিআই অফিসারেরা এ বিষয়ে ক্রমশ নিশ্চিত হচ্ছেন যে ওই খুন এবং ধর্ষণের ঘটনার পেছনে সন্দীপ থাকতে পারে। তা না হলে তথ্য লোপাটের চেষ্টা তিনি কেন করলেন। সেই সঙ্গে তার দুই শাগরেদ চিকিৎসক অভিক দে এবং বিরুপাক্ষ বিশ্বাস কেন ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছিলেন। লাল গেঞ্জি পরা অভিক প্রথমে ওই ঘটনার সঙ্গে থাকার কথা উড়িয়ে দিয়েছিলেন পরে সে স্বীকার করে যে ঘটনাস্থলে সে ছিল এ ব্যাপারে কোন জুনিয়র ডাক্তার যেন মুখ না খোলে। আর বিরুপাক্ষ একইভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছিল জুনিয়ার ডাক্তারদের। উল্লেখ্য সন্দীপ থেকে অভিক , বিরুপাক্ষ ও ডক্টর দাস নামে এক চিকিৎসক যিনি স্বাস্থ্য দপ্তরের কেউ না হওয়া সত্ত্বেও ছড়ি ঘোরাচ্ছিলেন। তারাই মূলত নর্থ বেঙ্গল র‍্যাকেট নামে পরিচিত। বকলমে তারাই নাকি স্বাস্থ্য দপ্তর চালাতো। এখন দেখার নাটের গুরু সন্দীপ কতটা স্নায়ুর চাপ ধরে রাখতে পারে। সন্দীপ ও অপর ধৃত সঞ্জয় রায় তাদের জেরা করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করতে পারে কিনা সিবিআই সেদিকেই তাকিয়ে আছেন রাজ্যবাসী।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর