court

ব্যুরো নিউজ,১৪ এপ্রিল: ওয়াকফ সংশোধনী আইন বাতিলের দাবিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদ। জেলার একাধিক এলাকায় বিক্ষোভ, হিংসা এবং মৃত্যুর ঘটনায় ক্রমেই তীব্র হয় পরিস্থিতি। এই আবহে এবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হল মামলা। মামলাকারী আইনজীবী শশাঙ্কশেখর ঝা-এর দাবি, শীর্ষ আদালতের নজরদারিতে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে মুর্শিদাবাদের হিংসার ঘটনা খতিয়ে দেখা হোক।

শুরু ধোঁয়া থেকে, শেষ কোথায়? রেলের আগুন এখন নিয়মিত আতঙ্ক!

হিংসার পর তদন্ত ও শান্তি ফেরাতে প্রশাসনের তৎপরতা

সূত্রের খবর, আইনজীবীর দাবি অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদে হিংসা ও মৃত্যুর ঘটনায় কেন্দ্রীয়ভাবে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত জরুরি। ইতিমধ্যেই বেসরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত তিনজন। এর আগে কলকাতা হাই কোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল উপদ্রুত এলাকাগুলিতে। সেই নির্দেশে ইতিমধ্যেই জেলায় শুরু হয়েছে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর যৌথ অভিযান। শনিবার রাত থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মাঠে নেমেছে বাহিনী।

১৪ বছর পর ‘নিরাপদ’ হলেন নিরাপদ মণ্ডলের পরিবার!

তবে রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, গত ৩৬ ঘণ্টায় মুর্শিদাবাদে আর কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম জানান, পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিকের পথে। ইতিমধ্যে ২০০-র বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গুজব রুখতে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে কিছু এলাকায়। তিনি বলেন, “অপরাধীদের কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। শান্তি ফেরাতে স্থানীয়দের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

১৪ বছর পর ‘নিরাপদ’ হলেন নিরাপদ মণ্ডলের পরিবার!

অন্যদিকে, অশান্তির সময় গঙ্গা পার হয়ে মালদহের বৈষ্ণবনগরে আশ্রয় নিয়েছিলেন সুতি, সামশেরগঞ্জ ও ধুলিয়ানের বহু বাসিন্দা। বর্তমানে তাঁদের ঘরে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাভেদ শামিম। অনেকেই ইতিমধ্যেই ফিরে এসেছেন নিজ এলাকায়। প্রশাসনের আশা, নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে বাকিরাও ফিরবেন। মুর্শিদাবাদ ও মালদহের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের রুটমার্চ, উচ্চপদস্থ অফিসারদের তৎপরতা, এবং জনগণের সচেতনতা এই মুহূর্তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এখন নজর থাকবে, সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার কী রায় দেয় এবং বিশেষ তদন্তকারী দলের গঠনের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর