ব্যুরো নিউজ,১৪ নভেম্বর:মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন যেন আরেক নতুন রাজনৈতিক কৌশলকে সামনে এনেছে। ভোট দেওয়ার পর ভোটারদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে মুড়ি চানাচুর।এটাই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। গুড়গুড়িপালে যেখানে ভোটগ্রহণ চলেছে, সেখানকার ভোটাররা বাড়ি ফিরেছেন মুড়ি চানাচুর হাতে নিয়ে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই মুড়ি চানাচুর বিতরণ করা হয়েছে।
নরেন্দ্র মোদীঃ ‘কেউ ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনতে পারবে না।’
‘ভোট প্রভাবিত করার কৌশল’
এর আগে আমরা শুনে এসেছি ভোটের দিন বিভিন্ন জায়গায় গুড় বাতাসা, নকুলদানা বিতরণের কথা। কিন্তু এবার মুড়ি চানাচুর দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার নতুন পদ্ধতি নিয়ে গরম আলোচনা শুরু হয়েছে। শুরুতে ছোলা মুড়ি দেওয়া হলেও পরে তা শেষ হয়ে যাওয়ার পর মুড়ি চানাচুরের ব্যবস্থা করা হয়।বিরোধী দলগুলি, বিশেষত বিজেপি, এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। তাদের দাবি, ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্যই এই কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে। বিজেপি নেতাদের মতে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে মুড়ি চানাচুরের মাধ্যমে ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণ করার চেষ্টা চলছে। তারা এটিকে ‘ভোট কেনার চেষ্টা’ হিসেবে ব্যাখ্যা করছে। তাদের আরও অভিযোগ, এর আগেও একাধিক ভোটে চপ, মুড়ি খাইয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার নজির রয়েছে।
মেদিনীপুরে তৃণমূলের ঘরোয়া দ্বন্দ্বঃ ভোট কেন্দ্রেই শুরু হল গন্ডগোল, মারপিট ও উত্তেজনা
তবে সব ভোটারই এই প্রলোভনে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন না।অনেকেই মুড়ি চানাচুর না নিয়ে নিজেদের অবস্থান বজায় রেখেছেন। তবুও, তৃণমূলের এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক মহলে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে, যা উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।মুড়ি চানাচুর বিতরণের ঘটনাটি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের কাছে একটি নতুন কৌশল হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে। আগামীদিনে এমন আরও ‘ভোট প্রভাবিত করার কৌশল’ সামনে আসবে কিনা, তা সময়ই বলে দেবে।