ব্যুরো নিউজ, ২৩ ফেব্রুয়ারি: বিজেপির মহিলা প্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে সন্দেশখালির মানুষের সাথে দেখা করতে সেখানে যাচ্ছিলেন বিজেপি সাংসদ তথা অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেখানে পৌঁছানোর আগেই তাঁকে ভোজেরহাট এলাকাতে আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশের সাথে এরপর বচসায় জড়িয়ে পরেন সাংসদ।
ট্রেলারের চাকার নীচে পিষে মৃত্যু হলো একরত্তির
পুলিশকে উদ্দেশ্য করে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘একজন জন প্রতিনিধিকে আপনারা এ ভাবে বাঁধা দিতে পারেন না’। এরপর লকেট চট্টোপাধ্যায়কে সিআরপিসি ১৫১ ধারায় আটক করে কলকাতার লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। সেখান থেকে তাঁকে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিট নাগাদ লালবাজারে নিয়ে আসা হয়। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে বিজেপি সূত্রে খবর।
পুলিশের যুক্তি, সন্দেশখালির বেশ কিছু জায়গায় যেহেতু ১৪৪ ধারা জারি করা রয়েছে তাই যাতে সেখানে গিয়ে নতুন করে আর কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই জন্য এই ধারা প্রয়োগ করে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। নিজের ফেসবুক পেজে সেই কথা জানান লকেট। শুধু লকেটই নয়। এর আগে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বারবার বাঁধার মুখে পড়তে হয়েছিলো বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। এমনকি গত বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি যেতে বাঁধার মুখে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এরপর সন্দেশখালি থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন সুকান্ত। ঘটনায় সুকান্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে অবশ্য ব্যাক্তিগত বন্ডে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়। ঘটনার জেরে ফের একবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি।
লকেটের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে নিজের এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি সেই পোস্টে লিখেছেন, ১৪৪ ধারা না মানার অভিযোগে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে ভোজেরহাট থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অথচ ভোজেরহাট এলাকা সন্দেশখালি থেকে অন্তত ৫০ কিলোমিটার দূরে। সেখানে ১৪৪ ধারা জারি নেই। ঘটনায় সকলের মনে একটাই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে। কেন শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার না করে বারবার বিরোধী কণ্ঠ রোধ করা হচ্ছে? তবে কী সত্যি পুলিশ বাঁচাতে চাইছে সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানকে? প্রশ্ন একাংশের মনে। ইভিএম নিউজ