ব্যুরো নিউজ,২৪ সেপ্টেম্বর:রাষ্ট্রসংঘের “সামিট অফ দ্য ফিউচার”-এ বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই অনুষ্ঠানে তিনি মানবতার সাফল্যের জন্য সকলের সম্মিলিত শক্তির গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং সংঘাতের পরিবর্তে সহযোগিতার আহ্বান জানান। মোদী বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে শান্তি ও উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সংস্কার প্রয়োজন।’ তিনি মানব-কেন্দ্রিক পদ্ধতির ওপর জোর দিয়ে দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের কথা বলেন।
এমপক্সের নতুন ক্লে়ড ১বি; ভারতে প্রথম সংক্রমণ
মানুষের কণ্ঠস্বর প্রধানমন্ত্রী
মোদি জানান, ‘আজ আমি এখানে মানবতার ছয় ভাগের এক ভাগের মানুষের কণ্ঠস্বর নিয়ে এসেছি। ভারতে আমরা ২৫ কোটি মানুষকে দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করেছি। আমাদের এই সাফল্য গ্লোবাল সাউথের সাথে ভাগ করে নিতে আমরা প্রস্তুত।’ তিনি আরও বলেন, যুদ্ধের মাঠে নয়, আমাদের সম্মিলিত শক্তির মধ্যে মানবতার সাফল্য নিহিত রয়েছে।মোদি উল্লেখ করেন, সন্ত্রাসবাদ বিশ্বের শান্তির জন্য একটি বড় হুমকি। তিনি সাইবার নিরাপত্তা এবং মহাকাশে নতুন সংঘাতের বিষয়েও সতর্ক করেন। মোদী বলেন, প্রযুক্তির নিরাপদ এবং দায়িত্বশীল ব্যবহারের জন্য ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত জরুরি।তিনি একটি উন্নত ডিজিটাল শাসনের জন্য আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার (ডিপিআই) একটি সেতু হওয়া উচিত, বাধা নয়। ভারত বিশ্বের মঙ্গলের জন্য ডিপিআই ভাগ করে নিতে প্রস্তুত।’ প্রধানমন্ত্রী এই উপলক্ষে ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’ ধারণাটির ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।প্রধানমন্ত্রী মোদী রবিবার নিউইয়র্কের নাসাউ কলেজে প্রবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। তিনি প্রবাসী ভারতীয়দের প্রশংসা করে বলেন, ‘আমি সব সময় প্রবাসীদের সামর্থ্য বুঝি। আমার কাছে আপনারা ভারতের শক্তিশালী ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর।’
শ্রেয়স আইয়ারের দুশ্চিন্তা: টেস্ট দলে প্রবেশের পথ রুদ্ধ
তিনি আরও জানান, ‘বিশ্বের জন্য এআই মানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, তবে আমার কাছে এটি আমেরিকান-ভারতীয় আত্মা।’ মোদী বলেন, ‘এটি বিশ্বের নতুন ‘এআই’ শক্তি।’দিনের শুরুতে, মোদী মার্কিন টেক সিইওদের সঙ্গে আলোচনা করেন, যেখানে ভারতের প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের কেন্দ্র হিসেবে ক্রমবর্ধমান মর্যাদা প্রদর্শিত হয়। তিনি “ডিজাইন ইন ইন্ডিয়া” প্রকল্পের ওপর জোর দেন, যাতে ভারত নতুন প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন বিশ্বকে উপহার দিতে পারে। সেমিকন্ডাক্টর খাতে অতিরিক্ত ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।