ব্যুরো নিউজ ২৩শে আগস্ট ২০২৫ : জয়পুরে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে মনিকা বিশ্বকর্মাকে মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট পরানো হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৪ রিয়া সিংহা তাঁর উত্তরসূরিকে মুকুট পরিয়ে দেন। এই জয়ের মধ্য দিয়ে মনিকা এ বছর নভেম্বরে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে চলা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন।
এই প্রতিযোগিতায় উত্তর প্রদেশের তানিয়া শর্মাকে প্রথম রানার-আপ, হরিয়ানার মেহক ধিংরাকে দ্বিতীয় রানার-আপ এবং আমিশি কৌশিককে তৃতীয় রানার-আপ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
মনিকা বিশ্বকর্মা কে?
মনিকা রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগরের বাসিন্দা এবং বর্তমানে দিল্লিতে থাকেন। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতিতে স্নাতক স্তরের চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রী এবং একজন প্রতিভাবান ও বহুমুখী তরুণী হিসেবে নিজের পরিচিতি তৈরি করেছেন।
শিক্ষাক্ষেত্রে উৎকর্ষের পাশাপাশি, মনিকা শাস্ত্রীয় নৃত্য ও চিত্রকলায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ একটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগ, বিমস্টেক সেওকনে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ললিত কলা একাডেমি এবং জে জে স্কুল অফ আর্টসও তাঁর প্রতিভাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা ও সমাজসেবা
মনিকা শুধু সৌন্দর্য ও প্রতিভার অধিকারী নন, তিনি সামাজিক পরিবর্তনেরও একজন প্রবক্তা। তিনি নিউরো-নোভা-র প্রতিষ্ঠাতা, যা নিউরো-ডাইভারজেন্স সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য নিবেদিত একটি প্ল্যাটফর্ম। এই উদ্যোগের মাধ্যমে তিনি এডিএইচডি-র মতো অবস্থাগুলির প্রতি মানুষের ধারণাকে পরিবর্তন করতে কাজ করছেন, সেগুলিকে ব্যাধির পরিবর্তে অনন্য শক্তি হিসেবে তুলে ধরছেন।
Mahavatar Narsimha : বক্স অফিসে ঝড় তোলার পর এবার ওটিটিতে মুক্তির অপেক্ষায় নরসিংহ অবতারের কথা !
জয়ের পর তাঁর বার্তা
মুকুট জয়ের পর মনিকা তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তাঁর জীবনের যাত্রা সম্পর্কে কথা বলেন। তিনি বলেন, “আমার যাত্রা আমার নিজের শহর, গঙ্গানগর থেকে শুরু হয়েছিল। আমি দিল্লিতে এসে প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। আমাদের নিজেদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস এবং সাহস জাগানো দরকার। সবাই এতে বড় ভূমিকা পালন করেছে। আমি তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই যাঁরা আমাকে সাহায্য করেছেন এবং আমাকে আজকের এই জায়গায় এনেছেন।”
তাঁর এই জয়ের মধ্য দিয়ে মনিকা বিশ্বকর্মা থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য মিস ইউনিভার্স ২০২৫-এ ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে বৈশ্বিক মঞ্চে পা রাখছেন। তাঁর প্রতিভা, সমাজসেবা ও আত্মবিশ্বাসের সংমিশ্রণ তাঁকে আন্তর্জাতিক মুকুটের জন্য একজন শক্তিশালী প্রতিযোগী করে তুলেছে।



















