Mamta Banerjee

ব্যুরো নিউজ,১৭ এপ্রিল: তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, যিনি বরাবরই মুসলিম ভোটব্যাঙ্কের প্রতি আস্থা রেখেছেন, প্রথম থেকেই এই দাবি করে এসেছেন যে তিনি WaqfAct সংশোধনীর বিরুদ্ধে। তিনি বলেছিলেন যে এই আইন বাংলায় চালু হতে দেবেন না এবং মুসলিমদের স্বার্থে এমন কোন আইন তিনি মান্যতা দেবেন না। তবে, একদিকে যখন তিনি গলার শিরা ফুলিয়ে এই আইনকে অস্বীকার করেছেন, অন্যদিকে চুপিসারে তিনি তার সরকারের মাধ্যমে এই সংশোধনী আইন কার্যকর করতে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছেন।

শান্তির মুখোশে লুকানো উত্তেজনার আগুন: কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

গোপনে আইন কার্যকরী পদক্ষেপ: March মাসে WaqfAct সংশোধনীর অধীনে নতুন CEO নিয়োগ

২০২৫ সালের ৩০ জানুয়ারি, জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটি (JPC) তাদের চূড়ান্ত রিপোর্ট লোকসভা স্পিকারকে জমা দেয়। সেই রিপোর্টের পরপরই, মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে, মমতা সরকারের পক্ষ থেকে নোটিফিকেশন জারি করা হয় এবং WaqfAct সংশোধনীর অধীনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।

শুরু ধোঁয়া থেকে, শেষ কোথায়? রেলের আগুন এখন নিয়মিত আতঙ্ক!

এই সংশোধনীর ২৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী, WaqfBoard এর প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা (CEO) হওয়া উচিত একজন যুগ্মসচিব (Jt. Secretary) পদমর্যাদার সরকারি কর্মকর্তা। কিন্তু রাজ্যের WaqfBoard এর CEO হিসেবে এখন পর্যন্ত ছিলেন একজন উপসচিব (Dy. Secretary) পদমর্যাদার কর্মকর্তা। কিন্তু ঘটনা অনুসারে, মার্চ মাসেই, এই উপসচিবকে সরিয়ে, ২০০৪ সালের WBCS-এর একজন সিনিয়র কর্মকর্তা, যিনি যুগ্মসচিব পদমর্যাদার, তাকে দ্রুত CEO পদে বসানো হয়। এই পরিবর্তনটি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের কাছে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। তারা দাবি করছেন যে মমতা ব্যানার্জি তাদের মুসলিম ভোটব্যাঙ্ককে অটুট রাখতে এই ধরনের “ভাঁওতা” ও “গোপন” পদক্ষেপের মাধ্যমে সরকারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

সকল বাইক প্রেমীদের জন্য বিরাট সুখবর! Moto Morini X Cape 650 মোটর বাইক পাবেন এখন অবাক করা সাশ্রয়ী মূল্যে, চলছে বুকিং

এটা স্পষ্ট যে, মমতা ব্যানার্জি একদিকে মুসলমানদের ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখার জন্য এই আইন নিয়ে ক্রমাগত ‘ভাঁওতা’ দিতে থাকেন, কিন্তু অন্যদিকে তিনি দিল্লিকে বার্তা দিতে চান যে, আইন মান্যতা দিয়ে তিনি আরও একবার প্রমাণ করতে চান যে রাজ্যের সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের প্রভাব মোকাবিলা করতে সক্ষম। এই পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তেজনা তৈরি করছে রাজ্য এবং কেন্দ্রের মধ্যে। মমতা সরকার যে হঠাৎ করে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তাতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা প্রশ্ন তুলছেন, এর পেছনে কি কৌশল隐藏 করা রয়েছে? এর মধ্য দিয়ে মমতা কেবলমাত্র ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে চান না, বরং দেশের মধ্যে একটি শক্তিশালী বার্তা পৌঁছে দিতে চাইছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর