ব্যুরো নিউজ ১০ জুন : রাজ্যের ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর তীব্র আক্রমণ ‘ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতিতে দুর্নীতিগ্রস্ত সংরক্ষণ ব্যবস্থা’
রাজ্যের ওবিসি (অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী) সংরক্ষণ নীতি নিয়ে ফের সুর চড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার তিনি সরাসরি রাজ্যের শাসক দল এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র অভিযোগ এনেছেন। শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করতে গিয়ে রাজ্য সরকার ওবিসি সংরক্ষণ ব্যবস্থাকে “দুর্নীতিগ্রস্ত” করেছে।
বিজেপি নেতার অভিযোগের মূল বিষয় হলো, যাঁরা প্রকৃত ওবিসি নন, তাঁদের অবৈধভাবে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁর মতে, এর ফলে যারা সত্যিই সংখ্যালঘু এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত, তাঁদের ন্যায্য অধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। তিনি আরও দাবি করেন, এই সম্পূর্ণ তালিকাটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই তৈরি করা হয়েছে, যার একমাত্র উদ্দেশ্য মুসলিম ভোটব্যাঙ্ককে ধরে রাখা।
ফুরফুরা শরিফের রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ: তৃণমূলের কৌশলে কি বদলাবে সংখ্যালঘু ভোটের চালচিত্র?
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করতে গিয়ে ওবিসি সংরক্ষণ ব্যবস্থাকে দুর্নীতিগ্রস্ত করেছে। যাঁরা প্রকৃত ওবিসি নন, তাঁদের অবৈধভাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে প্রকৃত সংখ্যালঘু ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছে।” তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, “এই তালিকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই তৈরি হয়েছে, যাতে মুসলিম ভোট ধরে রাখা যায়।”
ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে রাজ্য সরকারের এই ভূমিকা এবার আদালতের কাঠগড়ায় বলেও মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, এই বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। এই গুরুতর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তের দাবি তুলেছেন। তাঁর দাবি, এই দুর্নীতির গভীরে পৌঁছানোর জন্য কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত প্রয়োজন।
অল্প বিনিয়োগে ঘরে বসেই শুরু করুন ব্যবসা, রোজগার লক্ষ লক্ষ টাকা, বিশদে জানুন
এই অভিযোগগুলি রাজ্যের রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এখনও এই অভিযোগের বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে, বিগত দিনেও ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি বিভিন্ন সময়ে প্রশ্ন তুলেছে। শুভেন্দু অধিকারীর এই নতুন অভিযোগ এবং কেন্দ্রীয় তদন্তের দাবি রাজ্যের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।