ব্যুরো নিউজ,২৫ মার্চ : প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় বড়সড় মোড়! ভাগ্নে কল্যাণময় ভট্টাচার্যের নির্দেশেই তিনি একাধিক সংস্থার ডিরেক্টর হয়েছিলেন বলে আদালতে স্বীকার করলেন তাঁর মামা কৃষ্ণচন্দ্র অধিকারী। সোমবার, বিচার ভবনের সিবিআই বিশেষ আদালতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময়ের মামা কৃষ্ণচন্দ্রের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন বিচারক।কৃষ্ণচন্দ্র অধিকারী জানান, ভাগ্নের প্রতি বিশ্বাস রেখেই তিনি বিভিন্ন নথিতে সই করেছিলেন এবং কল্যাণময়ের কথাতেই দু’টি সংস্থার ডিরেক্টর পদ গ্রহণ করেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াত স্ত্রীর নামে গঠিত ‘বাবলি চ্যাটার্জি মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট’-এর মাধ্যমে একটি স্কুল তৈরি হয়েছিল, যা তদন্তে উঠে এসেছে। কৃষ্ণচন্দ্রের দাবি, স্কুল নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত টাকা তাঁকে দিয়েছিলেন কল্যাণময়। এমনকি, স্কুল তৈরির কাজও তিনি ভাগ্নের নির্দেশেই তদারকি করেছিলেন।
ভুয়ো জাতি-শংসাপত্র ব্যবহার করে শিক্ষক নিয়োগ! এসএসসি-কে পুলিশের চিঠি
এখানেই শেষ নয়! কৃষ্ণচন্দ্র আদালতে জানান, কল্যাণময়ের নির্দেশেই যে সংস্থার তিনি ডিরেক্টর হয়েছিলেন, তার আর্থিক লেনদেন সম্পর্কে তিনি কিছুই জানতেন না। তিনি পুরো বিষয়টি নিয়ে অন্ধকারে ছিলেন।
ফ্রিজের ঠান্ডা জল: শরীরের জন্য কী কী ক্ষতি হতে পারে জানেন?
অন্যদিকে, এখন রাজসাক্ষী হয়েছেন কল্যাণময় ভট্টাচার্য। তাঁকে অভিযুক্তদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাঁর লিখিত বয়ানে কল্যাণময় দাবি করেছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়ি থেকেই তিনি সব টাকা নিয়েছিলেন। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশেই সেই টাকা দিয়ে স্কুল নির্মাণ, জমি কেনা এবং কালো টাকা সাদা করার জন্য একাধিক সংস্থা খোলা হয়।
রুদ্রনীল ঘোষ তার নিজের জন্মদিনে ফিডিং বোতল দিয়ে মদ্যপান! হাসতে হাসতে কি বললেন তিনি?
এই মামলায় পার্থর আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী সোমবার কৃষ্ণচন্দ্র অধিকারীকে বিভিন্ন নথি দেখিয়ে জেরা করেন। মামলার পরবর্তী শুনানি আজ, মঙ্গলবার। এখন দেখার, আগামী দিনে এই মামলায় আর কী কী চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে!
