ব্যুরো নিউজ,২১ সেপ্টেম্বর:মলদ্বীপের সাম্প্রতিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চিনপন্থী মহম্মদ মুইজ্জু জয়ী হওয়ার পর থেকেই ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে। মুইজ্জু নির্বাচনের সময় ভারত বিরোধী রাজনীতির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন, কিন্তু বর্তমান সংকটের সময়ে আবারও ভারতের দিকে তাকাতে হচ্ছে তাকে।
স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির অন্ধকার, আরজি কর কাণ্ডের নতুন রহস্য
বিল শোধের সময়সীমা এক বছরের জন্য বাড়িয়ে দেয় মোদী সরকার
মুইজ্জু গদিতে বসার পর থেকেই একাধিক ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে মলদ্বীপ। গত বছর ভারতের স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া মলদ্বীপের জন্য ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ট্রেজারি বিল কিনেছিল।এর মধ্যে ৫০ মিলিয়ন ডলারের একটি বিল জানুয়ারিতে মুইজ্জু সরকার শোধ করে। কিন্তু মে মাসে বাকি ৫০ মিলিয়ন ডলারের বিল শোধের সময়সীমা এক বছরের জন্য বাড়িয়ে দেয় মোদী সরকার। সম্প্রতি, ভারত সরকার আবারও এই বিলের শোধের সময়সীমা এক বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।এদিকে, মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী মুসা জমির ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, যা আমাদের সংকট মোকাবিলায় সহায়ক হয়েছে।’মুইজ্জু সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর প্রথম বিদেশ সফরে চিনে গিয়েছিলেন, যা অনেকের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। তার তিন প্রতিমন্ত্রী মোদীর লাক্ষাদ্বীপ সফর নিয়ে কটাক্ষ করার পর সাসপেন্ড হন।এমনকি মুইজ্জু ভারত সফরের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, কিন্তু দিল্লি সেই আমন্ত্রণে সাড়া দেয়নি। তবে মোদী তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর মুইজ্জুকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
আগামী দিনে আবহাওয়ার চিত্র; বৃষ্টির আশঙ্কা ও তাপমাত্রার পরিবর্তন
মুইজ্জু বারবার দাবি করেছেন যে, মলদ্বীপের মাটিতে ভারতীয় সৈন্য থাকতে পারবে না। এই প্রসঙ্গে তিনি ‘ইন্ডিয়া আউট’ প্রচার শুরু করেন, যার ফলে মলদ্বীপ ও নয়াদিল্লির সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়।ভারতের তরফ থেকে মলদ্বীপকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাহায্য করার জন্য দুটি হেলিকপ্টার ও একটি ডর্নিয়ার বিমান দেওয়া হয়েছিল। এই কাজে ৭৬ জন ভারতীয় জওয়ান মলদ্বীপে মোতায়েন ছিলেন, যাদেরকে সম্প্রতি দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।এখন প্রশ্ন হল, আগামী দিনে মলদ্বীপের বিদেশনীতি কোথায় গড়াবে? ভারতীয় সরকারের সহায়তার এই মুহূর্ত কি দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের সূচনা করবে, নাকি আবারও পুরোনো বৈরিতায় ফিরে যাবে?