ব্যুরো নিউজ,২১ সেপ্টেম্বর:আরজি কর কাণ্ডের পর থেকে স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির একাধিক ঘটনা জনসাধারণের সামনে এসেছে, যা এখন একটি বড় সংকট হিসেবে দেখা দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে এই দুর্নীতির মাত্রা হিমশৈলের চূড়ার মতো।একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, নির্যাতিত তরুণী চিকিৎসক অভিযোগ করেছিলেন হাসপাতালে ওষুধের মান নিয়ে। এই অভিযোগের জেরে তৎকালীন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ তাকে সরাসরি হুমকি দিয়েছিলেন। নির্যাতিতার পরিচিতদের উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, তরুণী চিকিৎসককে দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে নিষেধ করা হয়েছিল। তবুও তিনি ওই অভিযোগ তুলে সন্দীপ ঘোষের ঘরে গিয়ে কথা বলেছেন।
আগামী দিনে আবহাওয়ার চিত্র; বৃষ্টির আশঙ্কা ও তাপমাত্রার পরিবর্তন
‘এত বেশি কথা বললে তোমার পাশ করা হয়ে উঠবে না।’
সন্দীপ ঘোষের ঘরে তাদের মধ্যে কথোপকথনের সময় উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের আরও দুজন আধিকারিক। একজন বলেছিলেন, সন্দীপ নাকি নির্যাতিতাকে বলেছিলেন, ‘এত বেশি কথা বললে তোমার পাশ করা হয়ে উঠবে না।’ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, আরজি কর হাসপাতালে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছিল, যেখানে ওষুধের মান খারাপ এবং কার্যকারিতা নেই বলে জানানো হয়েছিল।তবে সন্দীপ ঘোষ এই বিষয়গুলো নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেননি। নির্যাতিতা চিকিৎসক যখন সরাসরি অভিযোগ করেন, তখন তাকে হুমকি দেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতালের অ্যান্টিবায়োটিক, লিভারের ওষুধ এবং প্যারাসিটামলের ক্ষেত্রে জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে।এছাড়া, হাসপাতালের জেনারেল সার্জারি ও প্লাস্টিক সার্জারির চিকিৎসকদের মধ্যে কয়েকজন সম্প্রতি এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনার জন্য উদ্বিগ্ন ছিলেন। তাদের একজনকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগে বলা হয়েছে, অস্ত্রোপচারের পর রোগীকে দেওয়া অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করেনি।
সুপ্রিম কোর্টের ইউটিউব চ্যানেল ‘হ্যাক’, কী ঘটছে?
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, কিছু চিকিৎসক জানিয়েছেন, হাসপাতালে ব্যবহৃত ক্ষতস্থান পরিষ্কার করার ওষুধ আসলে শুধু রঙিন জল। এই পরিস্থিতিতে অনেক রোগী অস্ত্রোপচার সফল হওয়ার পরেও মারা গেছে, এবং কার্যকরী ওষুধের অভাবে অনেক শিশুকেও বাঁচানো যায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।এই পরিস্থিতি স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির ভয়াবহতা আরও প্রকাশ করেছে, যা নতুন করে জনসাধারণের মনে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।