ব্যুরো নিউজ,২০ সেপ্টেম্বর:লেবাননে ঘটেছে এক ভয়াবহ ঘটনা। যেখানে একাধিক বিষ্ফোরণে কেঁপে উঠেছে গোটা দেশ। মৃতের সংখ্যা দ্রুত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, এবং আহতদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, আসলে এই ‘পেজার’ কী? কীভাবে এটি বিষ্ফোরণের কাজে ব্যবহৃত হয়?পেজার একটি ছোট যোগাযোগ যন্ত্র, যা মূলত বার্তা পাঠানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। ৮০-এর দশকে এটি বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তির আগমনে এর ব্যবহার প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। তবুও, কিছু সন্ত্রাসী সংগঠন, বিশেষ করে হিজবুল্লাহ, এখনও পেজার ব্যবহার করে। কারণ এটি অন্যান্য যোগাযোগ যন্ত্রের তুলনায় অনেক বেশি নিরাপদ।
‘৯’ টিপলেই সর্বনাশ! ফোন হ্যাকড হতে পারে আপনার
‘থার্মাল রানওয়ে’
পেজার কীভাবে কাজ করে? সাধারণত, পেজার ব্যবহারের জন্য প্রথমে রিসিভারের রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি সেট করতে হয়। এতে ফোনের মাধ্যমে কথা বলার সুবিধা নেই। পেজার তিন প্রকারে পাওয়া যায়: একদিকে শুধুমাত্র মেসেজ পাওয়া যায় (ওয়ান ওয়ে পেজার), দ্বিমুখী পেজার যেখানে বার্তা পাঠানো এবং গ্রহণের সুবিধা রয়েছে, এবং ভয়েস পেজার, যা ভয়েস রেকর্ড করে বার্তা পাঠানোর সুযোগ রয়েছে।বিশেষজ্ঞদের মতে, পেজারগুলিকে খুব নিরাপদ হিসেবে ধরা হয়, কারণ এগুলি ট্র্যাক করা কঠিন। রাল্ফ বেডাউন নামে একজন ডেটা বিশ্লেষক জানান, পেজারে একটি লিথিয়াম ব্যাটারি থাকে। যদি পেজারটি হ্যাক হয়, তবে এটি অতিরিক্ত গরম হয়ে যায় এবং ‘থার্মাল রানওয়ে’ প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই প্রক্রিয়ায় একটি রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া ঘটে, যা বিস্ফোরণের কারণ হতে পারে।
অপহরণ ও তোলাবাজির অভিযোগে তৃণমূল কাউন্সিলর মিলন সর্দার গ্রেফতার, তৎপর সিআইডি
নিউইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, কয়েক মাস আগে হিজবুল্লাহ একটি তাইওয়ানী কোম্পানির থেকে পাঁচ হাজার পেজার অর্ডার করেছিল। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এই তথ্য জানতো এবং তারা পেজারগুলির মধ্যে তিন গ্রাম করে বিস্ফোরক ভরাট করেছিল। লেবাননে পৌঁছানোর আগেই এই পেজারগুলি আটক করা হয়েছিল।এই ঘটনা লেবাননের জন্য একটি নতুন বিপদের সংকেত। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের নতুন এই পন্থা দেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে। এখন দেখার বিষয়, এই ঘটনার পরে লেবানন কীভাবে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করে এবং জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করে।