ব্যুরো নিউজ,৪ আগস্ট: পুজোর আর বেশি দেরি নেই। সারা বছর ধরে সকলেই অপেক্ষায় থাকেন দুর্গাপুজোর। বিশ্বজুড়ে আপামর বাঙালি এই দুর্গাপুজোর সময় সমস্ত ব্যস্ততার জীবনকে দূরে ফেলে দিয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন। প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে চূড়ান্ত পর্যায়ে। কুমোরটুলির পটুয়াপাড়ায় দুর্গা প্রতিমা তৈরীর কাজ চলছে জোরকদমে। আর পুজোর ঠিক এক সপ্তাহ আগে মহালয়ার দিন কুমোরটুলির পটুয়াপাড়ায় ছবি তোলার জন্য একেবারে ভিড় লেগে যায়। এবার আর তা হবে না।
কেন এবার ছবি তোলা যাবে না কুমোরটুলিতে?
কুমোরটুলি মৃৎশিল্প সংস্কৃতি সমিতির পক্ষ থেকে নোটিশ জারি করে জানানো হয়েছে, এবার মহালয়ার দিন কুমোরটুলির পটুয়াপাড়ায় কোনো শখের ফটোগ্রাফাররা ঢুকে ছবি তুলতে পারবেন না। সমিতির অফিস সহ সমস্ত জায়গায় এই নোটিশ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের মহালয়ার দিন শখের ফটোগ্রাফারদের ভিড়ে পরিস্থিতি এতটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়েছিল যে পুলিশ ডাকতে হয়েছিল। পাশাপাশি মহালয়ার দিন বহু পুজো কমিটি কুমোরটুলি থেকে তাদের মন্ডপের উদ্দেশ্যে প্রতিমা নিয়ে যায়। ফলে চূড়ান্ত ভিড় লেগে থাকে। আর তার উপরে এই শখের ফটোগ্রাফারদের ছবি তোলার কারণে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এমন কি প্রতিমা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বিভিন্ন কারণে এবার ২০২৪ সালে মহালয়ার দিন আর শখের ফটোগ্রাফাররা কুমোরটুলিতে দুর্গা প্রতিমার ছবি তুলতে যেতে পারবেন না।
সৌরভ গাঙ্গুলীর নামে বহু অভিযোগ জমা পরলো থানায় কারা করল এবং কেনই বা করল এই অভিযোগ
তবে সংবাদ মাধ্যমের ক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। একমাত্র সংবাদমাধ্যম সেখানে মহালয়ার দিন ছবি তুলতে যেতে পারে। এখন হাতে হাতে স্মার্টফোন, অনেকের কাছে ডিজিটাল ক্যামেরাও রয়েছে। তারা পুজোর এক সপ্তাহ আগে মহালয়ার দিন ভিড় জমান কুমোরটুলিতে। মৃৎশিল্প সমিতির পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, মহালয়ার দিন সংস্কার মেনে শিল্পীর ঘরে দুর্গা প্রতিমার চক্ষুদান হয়। আর সেই সময় ভিড় লেগে যায় শখের ফটোগ্রাফারদের। ২০২৩ সালের কথা মাথায় রেখে এবার কুমোরটুলি শখের ফটোগ্রাফারদের ছবি তোলার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আগে একটা নিয়ম ছিল, ছবি তুলতে গেলে শখের ফটোগ্রাফাররা ৫০ টাকা দিয়ে টিকিট কাটতেন, তার মেয়াদ ছিল একদিন। আর ১০০ টাকার টিকিটের মেয়াদ ছিল তিন মাস। কিন্তু এই বছর ওই টিকিট মহালয়ার দিন কোনো ভাবেই গ্রাহ্য করা হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।