ব্যুরো নিউজ ১৬ ই মে : পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একটি হাসপাতালে এক মহিলাকে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়ার জেরে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার চার মাস পর, সোমবার কলকাতার একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক।

রোগীর নাম নাসরিন খাতুন এবং কলকাতার সরকারি এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। জানুয়ারি মাস থেকে তিনি ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

অভিযোগ, খাতুন যখন গর্ভাবস্থার শেষ পর্যায়ে ছিলেন, তখন জানুয়ারি মাসে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তাকে “মেয়াদ উত্তীর্ণ” ইন্ট্রাভেনাস ফ্লুইড দেওয়া হয়েছিল।

অন্য একজন গর্ভবতী মহিলা, যার নাম মামণি রুই দাস, একই হাসপাতালে জানুয়ারিতে “মেয়াদ উত্তীর্ণ” রিংগার্স ল্যাকটেট স্যালাইন দেওয়ার পরে মারা যান বলে অভিযোগ। রিংগার্স ল্যাকটেট হল একটি ইন্ট্রাভেনাস ফ্লুইড যা ডাক্তাররা ডিহাইড্রেশন এবং শরীরে তরলের ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করতে ব্যবহার করেন।

ওই আধিকারিক বলেন, “এত মাস চিকিৎসার পর খাতুনের অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল। কিছুদিন আগে তাকে আইসিইউ থেকে সাধারণ ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। কিন্তু ৯ মে থেকে তার অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে এবং আজ সকালে তার মৃত্যু হয়।”

তিনি জানান, এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে খাতুনের নিয়মিত ডায়ালিসিস চলছিল।

রুই দাসের মৃত্যু হয় ১০ জানুয়ারি। একই হাসপাতালে ভর্তি আরও চারজন – মাম্পি সিং, নাসরিন খাতুন, মিনারা বিবি এবং রেখা সাউ – এর অবস্থার অবনতি হলে তাদের এসএসকেএম হাসপাতালে আনা হয়।

এই ঘটনায় স্বাস্থ্য দফতর একটি ১৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে।

ওই আধিকারিক জানান, মাম্পি সিং ও মিনারা বিবি পরে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান, তবে নাসরিনের চিকিৎসা কলকাতার হাসপাতালে চলতে থাকে।

এই ঘটনায় রাজ্য সরকার মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ১২ জন চিকিৎসককে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে বরখাস্ত করায় পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি বিষয়টি তদন্ত করছে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর