ব্যুরো নিউজ,১৪ আগস্ট : কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় নিমের চারা বসিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। কিন্তু বেশ কিছুদিনের মধ্যেই গাছগুলি সবুজ হয়ে বড় হতেই ডালপালা পাতা ছিড়ে নিয়ে মানুষজন কার্যত ন্যাড়া করে দিয়েছে গাছগুলিকে। আর তাতেই আতঙ্ক দেখা দিয়েছে পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের মনে । তাই এবার আর নিম নয় দেবদারু গাছ বসিয়ে পরিবেশ রক্ষা কাজ করতে চান ফিরহাদ।
মহিলাদের থেকে পুরুষদের গড় আয়ু বেশি।২০৩৬ সালে জনসংখ্যা কত জানালো কেন্দ্রীয় রিপোর্ট
নিম গাছ পাহারা দেওয়ার লোক নেই
কলকাতা পুরসভা এলাকায় পরিবেশ রক্ষার জন্য পরিবেশবান্ধব গাছ বসানোর ওপর জোর দিয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু সেই কাজ করতে গিয়ে রীতিমতো আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছেন মেয়র । পরিবেশ বান্ধব হিসেবে সবচেয়ে ভালো দুটি গাছ হল নিম এবং দেবদারু। বাস্তবে দেখা গেছে নিমের এত উপকারিতা যে যতগুলি গাছ বসানো হয়েছিল সব গাছই মৃতপ্রায়। বেশিরভাগ গাছকে পরিচর্যা করেও বাঁচানো যায়নি। কেউ ভেঙে নিয়ে গেছেন শুধু পাতা ,কেউবা দাঁতনের জন্য ডাল , আবার কেউবা পুরো গাছটি উপড়ে নিয়ে চলে গেছেন। ফলে নিমের চারা বসানোয় এবার ইতি টানলো কলকাতা পুরসভা।
RG Kar Case:”রাত দখলে মহিলারা”কে বা কারা প্রথম এই ডাক দিলো?নেপথ্যে কোন ইতিহাস?
বদলে দেবদারু গাছ বসাচ্ছেন কলকাতা পুরসভার কর্তারা । কারণ এই গাছ ভাঙা বা চুরি করার আশঙ্কা নেই। তাছাড়া এই গাছগুলির পাতা অত্যন্ত ঘন হয় অথচ ডালপালা সুদূর প্রসারিত নয় । বৃক্ষের যেরকম বড় ডালপালা হয় দেবদারু তা হয় না। এইসব বিবেচনা করে এবার নিমের চাষ বন্ধ করে দেবদারু গাছ লাগানো শুরু করছে কলকাতা পুরসভা। পুরোকর্তারা বলেছেন নিম গাছ পাহারা দেওয়ার লোক নেই। আর পাহারার অভাবে গাছগুলি ছিড়ে নিয়ে চলে যাচ্ছে স্থানীয় মানুষজন। উদ্যান বিভাগের আধিকারিকেরা রীতিমতো ভয় পাচ্ছেন নিমগাছ বসাতে। উল্টোদিকে দেবদারু গাছ বসালে তা টেলিফোন বা বিদ্যুতের তারে সমস্যা তৈরি করে না। নিম সবদিক থেকেই উপকারী। কিন্তু নিম গাছ বসালে উপযুক্ত পাহারা দেওয়া প্রয়োজন ।কিন্তু স্থানীয় মানুষজন বা কলকাতা পুরসভার কেউই পাহারা দেন না ফলে পুরো কর্তারা এবার বাধ্য হয়েছেন রণে ভঙ্গ দিতে। তারা বলছেন নিম গাছের আকার আকৃতি একটু বড় হলেই সেগুলি ডাল ভেঙে বিভিন্ন বাজারে দাঁতন হিসেবে বিক্রি করছে স্থানীয় মানুষজন। ফলে কোনভাবেই আর গাছ বসিয়ে লাভ হচ্ছে না। সেই জন্য এবার দেবদারুতেই ভরসা রাখছেন কলকাতার পুরসভা উদ্যান বিভাগের কর্তারা।