ব্যুরো নিউজ,১৩ ফেব্রুয়ারি:১৩ ফেব্রুয়ারি, চুম্বন দিবস, প্রেমিক-প্রেমিকারা একে অপরকে ঠোঁটে ঠোঁট রেখে ভালোবাসার শপথ নেন। চুম্বন শুধুমাত্র প্রেমের প্রকাশ নয়, এটি সম্পর্কের গভীরতা এবং আবেগের একটি সুন্দর প্রতীক। আজকের দিনে, চুম্বন হতে পারে কোনও সম্পর্কের প্রথম অনুভূতি থেকে শুরু করে গভীর ভালোবাসার চিহ্ন। ঋ সেন ও কিউ, টলিউডের দুটি পরিচিত নাম, যারা চুম্বন এবং ভালোবাসা নিয়ে তাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।ঋ সেন একজন অভিনেত্রী, যিনি তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে চুম্বনকে প্রেম এবং ভালোবাসার প্রকাশ হিসেবে দেখেন। একদিন, ক্যামাক স্ট্রিটে, ঋ সেন ও তাঁর প্রেমিক এক অদ্ভুত মুহূর্তের শিকার হন।
ভ্যালেনটাইনস ডে-র নেপথ্যের করুণ ইতিহাস থেকে আজকের প্রেমের উৎসব। কিভাবে হল জানুন
অভিজ্ঞতা
তিনি প্রেমিকার ঠোঁটে এক গভীর চুমু রেখে সময় কাটানোর পর, আশেপাশের মানুষদের একদম থমকে যেতে দেখে মজা পেয়ে যান। ঋ সেন তাঁর জীবনে চুম্বনকে মনে করেন এক ধরনের শক্তি, যা তার মন ভালো করে দেয়। তাঁর মতে, যখন মন খারাপ থাকে, তখন একজন প্রিয় মানুষ আপনাকে এক আদরপূর্ণ চুমু দিয়ে আপনার দিন বদলে দিতে পারে।তবে, চুম্বন সব সময় সুখের স্মৃতি নিয়ে আসে না। একবার, ঋ সেন একটি সিনেমার দৃশ্যে কাজ করার সময়, এক অভিনেতা তাঁকে জোর করে ঠোঁটে চুমু দিয়েছিলেন, যা তাকে ভীষণ অস্বস্তিতে ফেলে। ঋয়ের মন্তব্য, “এখন হলে আমি তাকে চড় মারতাম।
অন্যদিকে, কিউ, যিনি ‘গান্ডু’ ছবির পরিচালনা করেছিলেন, চুম্বন দিবসের বিশেষ গুরুত্ব না মানলেও, তিনি প্রেম এবং ভালোবাসার প্রকাশে বিশ্বাসী। কিউ মনে করেন, চুম্বন একটি আবেগের প্রকাশ, এবং এটি কোনো নির্দিষ্ট স্থানে বা সময়ে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়। তার মতে, যখন প্রেম আসে, তখন চুম্বন করতে ভয় পেতে হয় না। তিনি আরও বলেন, “ফি দিন ইচ্ছে হলে চুমু খাও। মন ভালো থাকবে, সম্পর্ক গাঢ় হবে।”এছাড়া, কিউ-এর জীবনে চুম্বন একটি সুন্দর অভিজ্ঞতা ছিল, যা তার প্রথম প্রেমে পেরেক দিয়ে গিয়েছিল। একদিন, বিদেশে, রাস্তার মাঝখানে একটি অজানা বিদেশিনী তাঁকে চুমু দিয়েছিলেন। কিউ তখন ছিল মাত্র দ্বাদশ শ্রেণিতে, এবং তার বাবা তাকে বলেছিলেন, “বিদেশে এটাই রীতি। পুরনো মায়া বয়ে বেড়ায় না।”
‘মাই ভ্যালেনটাইন’ ডাকার পেছনের হৃদয় বিদারক ইতিহাস জানুন
আজ, চুম্বন দিবসে ঋ সেন এবং কিউ-এর গল্প থেকে স্পষ্ট হয় যে, চুম্বন শুধু একটি শারীরিক অভিব্যক্তি নয়, এটি মানুষের মন ও হৃদয়ের গভীর অনুভূতির প্রকাশ। এটি সম্পর্কের শুরুর কথা হতে পারে, আবার এটি বন্ধুত্ব এবং ভালোবাসার অমোচনীয় দাগও হয়ে উঠতে পারে। চুম্বন দিবস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, ভালোবাসা প্রকাশের কোনও সময় বা স্থান হয় না—এটি খোলামেলা, নিখুঁত এবং নিঃস্বার্থ হওয়া উচিত।