kestho-trinamool-clash-2025

বীরভূম তৃণমূলে ফের ‘পাওয়ার প্লে’! রাজ্য নেতৃত্বের কড়া বার্তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের বিতর্কে অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট। দলের তরফে ডেপুটি স্পিকার তথা কোর কমিটির চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ২৫ জুন বোলপুরে কোর কমিটির বৈঠক ডাকেন, ঠিক একই দিন, একই সময় নিজের অনুগামীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অনুব্রত নিজেও বৈঠক ডেকে বসেন! অর্থাৎ একই বৈঠকের জন্য আলাদা দু’টি ডাক—দুই নেতৃত্ব থেকে।

এই ঘটনা ঘিরে তৃণমূল অন্দরে প্রশ্নের ঝড়:


👉 কেষ্ট কি দলের বার্তা ‘উপেক্ষা’ করেই পাল্টা শক্তিপ্রদর্শন করলেন?
👉 কোর কমিটির চেয়ারম্যানের বাইরে গিয়ে আলাদা বৈঠক ডাকা—এ কি অনুব্রতের সাংগঠনিক ‘চ্যালেঞ্জ’?
👉 তাহলে কি দলের অভ্যন্তরে ফের দুই মেরুর সংঘাত ঘনীভূত হচ্ছে?

তৃণমূলে রক্তগরম রাজনীতি ফের প্রকাশ্যে!

শনিবার কলকাতায় একুশে জুলাই প্রস্তুতি বৈঠকে কেষ্ট ও কাজল শেখকে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী ও অন্য শীর্ষ নেতারা ‘লাস্ট ওয়ার্নিং’ দেন। জানিয়ে দেওয়া হয়, ব্যক্তিগত ক্ষমতার লড়াইয়ে দলের ক্ষতি সহ্য করা হবে না। দলের নাম ও সাফল্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘ লড়াই ও নেতৃত্বের ফল—এটা যেন কেউ ভুলে না যায়।

তবে সেই হুঁশিয়ারির রেশ না কাটতেই রবিবার আবার বিতর্ক। অনুব্রতের আলাদা ডাক, তাতে স্পষ্ট লেখা—“ধন্যবাদান্তে, অনুব্রত মণ্ডল।” এটা নিছক এক নোটিশ নয়, এটা ‘পাওয়ার স্টেটমেন্ট’। প্রশ্ন উঠছে, অনুব্রত কি কোর কমিটির চেয়ারম্যানকেও উপেক্ষা করতে চাইছেন? এটা কি দলের ভেতর এক নতুন ধরণের দ্বৈত নেতৃত্ব তৈরির ইঙ্গিত?

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বন্ধ শহরের উন্নয়ন! কৃষ্ণনগর পুরসভা কার্যত অচল

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কেষ্ট এখনও প্রমাণ করতে চান—তিনি জেলার অঘোষিত কর্তাই। আর আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ নিয়ে কাজ করলেও, মাঠে নেমে কেষ্টকে ‘বাধা’ দিতে পারছেন না।

এতদিন অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে তাঁর অনুগামীরা এলাকা নিয়ন্ত্রণ করলেও, তাঁর ফের সক্রিয় হয়ে ওঠা জেলা রাজনীতিতে নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এখন দেখার বিষয়—২৭ মাস আগে লঞ্চ হওয়া তৃণমূলের ‘একব্যক্তিকেন্দ্রিক নেতৃত্ব’-এর রাশ ধরে রাখতে আদৌ পারবে কি না রাজ্য নেতৃত্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর