ব্যুরো নিউজ,১৯ সেপ্টেম্বর :কঙ্গনা রানাউত ও জয়া বচ্চন, দুই সাংসদ-অভিনেত্রী যাদের মেজাজের গভীরতা বোঝা কঠিন। দু’জনেই তাদের নিজস্ব মর্জির মালিক, কিন্তু সংসদে তাদের অবস্থান ভিন্ন—একজন বসেন শাসক আসনে, অন্যজন বিরোধী কক্ষে। অনেকেই মনে করেন, কঙ্গনার আচরণে জয়ার প্রতিচ্ছবি দেখা যায়। যখন আলোকচিত্রীদের সামনে পড়েন, তখন জয়ার মেজাজ সপ্তমে উঠে যায়। অপরদিকে, কঙ্গনা বলিউড তারকা ও তাদের সন্তানদের বিরুদ্ধে দিনরাত আক্রমণ করছেন।
হলিউডে জ্যাকলিনের নতুন অধ্যায়: জঁ ক্লদ ভ্যান ডামের সঙ্গী
কঙ্গনা জয়া সম্পর্কে কী বলেন?
নেটমহলে এই দুই অভিনেত্রীকে নিয়ে মিমের অভাব নেই, কিন্তু তারা এ বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেন না। একসময় কঙ্গনাকে নাম না করেই কটাক্ষ করেছিলেন জয়া। এমনকি, দু’বছর আগে একটি অনুষ্ঠানে জয়াকে দেখে কুশল বিনিময় করার চেষ্টা করেও এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদ নিয়ে বিতর্ক: চন্দ্রবাবু নায়ডুর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ
এখন কঙ্গনা জয়া সম্পর্কে কী বলেন? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা জয়া বচ্চনকে ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে মর্যাদা সম্পন্ন নারী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। কঙ্গনার বক্তব্য, ‘জয়া বচ্চন চলচ্চিত্র জগতে অত্যন্ত নামী অভিনেত্রী। সত্যি বলতে, তিনি কিছুটা বদমেজাজি হিসেবে পরিচিত, তবে এক বিষয়ে তাকে কৃতিত্ব দিতে চাই। ১৯৭০-এর দশকে নারীকেন্দ্রিক ছবিতে কাজ করে তিনি নারী ক্ষমতায়নের বার্তা দিয়েছেন। ‘গুড্ডি’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন যখন কেউ এমন ভাবতেও পারত না। রাজ্যসভায় তার উপস্থিতি আমাকে খুব প্রভাবিত করে’।
সালভাতোর স্কিলাচ্চির অবদান: বিশ্বকাপের কিংবদন্তি
২০২০ সালে সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর, যখন কঙ্গনা সবে সিনেমা জগতকে দুষছিলেন, তখন জয়া বলেছিলেন, ‘যে থালায় খাচ্ছেন, সেই থালায় ফুটো করছেন’।কিন্তু কঙ্গনা সে সব কথাকে পিছনে ফেলেছেন। তিনি বলেন, ‘জয়া দিদি আমার চেয়ে বয়সে বড়। তিনি যদি কিছু বলেন, তাহলে আমাদের তা গ্রহণ করা উচিত’।এই দুই অভিনেত্রীর মধ্যে সম্পর্কের জটিলতা যেন ফিকে হতে চাইছে, কিন্তু তারা নিজেদের স্বাভাবিক গতি বজায় রেখেছে।