ব্যুরো নিউজ,২১ সেপ্টেম্বর:গত ১০ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যভবন সামনে সাফাই অভিযানের ডাক দেয় ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। এই প্রতিবাদে রাস্তায় বসে অস্থায়ী ধর্না পালন করতে থাকে ডাক্তাররা। একাধিক বৈঠক ও টানাপড়েনের পরে, কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা হয়, যেখানে ৫ দফার মধ্যে ৩ দফা দাবি মেনে নেওয়া হয়। এরপর নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গে ফের বৈঠক হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি বলে দাবি করেন আন্দোলনকারীরা।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে রেকর্ড, পেট থেকে বেরোল ১৩,১২০টি গল ব্লাডার স্টোন
আংশিকভাবে কর্মবিরতি প্রত্যাহার
শেষ পর্যন্ত, ১৯ সেপ্টেম্বর, জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়ে দেন যে তারা আংশিকভাবে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করছেন। এই ঘোষণার পর তারা সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরের কাছে অভিযানে নামেন। তবে, আন্দোলন যে পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে না, তা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন ডাক্তাররা।স্বাস্থ্যভবনের সামনে চলা আন্দোলনের সময় ডাক্তাররা সাধারণ মানুষের সমর্থন পেয়েছেন। বহু মানুষ, এমনকি অনেক শিল্পীও তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ১৯ সেপ্টেম্বর, আন্দোলনের শেষ দিনে ‘চন্দ্রবিন্দু’ ব্যান্ডের উপল সেনগুপ্ত ধর্না মঞ্চে উপস্থিত হয়ে ডাক্তারদের সঙ্গে গেয়ে উঠেন, যা আন্দোলনকারীদের মধ্যে উৎসাহ জোগায়। উপলের গাওয়া গান শুনে অনেক জুনিয়র ডাক্তারও তার সুরে গলা মেলান। এই মুহূর্তটি উঠে এসেছে ডাক্তার অভিনব পালের সামাজিক মাধ্যমে।
‘এলিয়েন’ গাছের কবল থেকে বাঘেদের বাঁচালো মুদুমালাই
১০ অগস্ট থেকে চলা কর্মবিরতির পর, ২০ সেপ্টেম্বর জুনিয়র ডাক্তাররা ঘোষণা করেন যে তারা আংশিক কর্মবিরতি প্রত্যাহার করছেন। এদিন সন্ধ্যায়, সিজিও কমপ্লেক্সের অভিযান শেষে তারা আরজি কর হাসপাতালে ফিরে এসে সাধারণ মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাদের দাবি, ২৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের শুনানির দিকে নজর রাখবেন এবং সরকারের উপর চাপ বজায় রাখবেন যাতে স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত হয়। জরুরি পরিষেবায় ফিরে আসলেও, তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।