ব্যুরো নিউজ,৫ ডিসেম্বর:আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার জেরে সারা রাজ্যে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল। দুর্গাপুজোর সময়েও এই ইস্যুতে আন্দোলনের আঁচ কমেনি। ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন, নাগরিক সমাজের মিছিল এবং শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগের পরও বাংলার ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস সমস্ত আসনে জয়লাভ করেছে। এই প্রেক্ষিতে জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট একটি বিবৃতিতে বলেছে ‘আমাদের নাগরিক আন্দোলনকে বারবার দলীয় রাজনীতির মাপকাঠিতে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমাদের লড়াই স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্নীতি, হুমকি সংস্কৃতি এবং সিস্টেমের গাফিলতির বিরুদ্ধে। এটি কোনো রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে নয়।’
তথাগত রায়ের বিতর্কিত মন্তব্যে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া
আন্দোলন চলবে
আরজি করের ঘটনায় গ্রেফতার সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সিবিআই চার্জশিটের অনুমোদন না দেওয়া এবং অভীক দে-র বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না করাকে কেন্দ্র করে এই ফ্রন্ট শুক্রবার একটি মিছিলের ডাক দিয়েছে। ৬ ডিসেম্বর, শুক্রবার, দুপুর ৩টেয় ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের সামনে জমায়েত হয়ে স্বাস্থ্যভবন পর্যন্ত এই মিছিল করা হবে। মিছিলে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষকেও যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।এর আগে আরজি করের কাণ্ডে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ‘অতিবামপন্থী’ হওয়ার অভিযোগ তোলা হলেও তারা নিজেদের লক্ষ্য থেকে সরেনি। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি আন্দোলনের পাশে থাকার চেষ্টা করলেও আন্দোলনস্থলে উপস্থিত হলে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান শুনতে হয়েছিল।
আর জি কর মেডিক্যালে অগ্নিকাণ্ড, আতঙ্ক ছরিয়েছে রোগী ও পরিবারের মধ্যে
ডাক্তারদের আন্দোলন কেবল ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নয় গোটা স্বাস্থ্যব্যবস্থার সংস্কার ও দুর্নীতিমুক্তিকরণের দাবিতে পরিচালিত। অনিকেত, দেবাশিস, এবং কিঞ্জলরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন ‘আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার নই। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য মানুষের সেবা এবং একটি স্বচ্ছ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা।’ জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের দাবি, তারা স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে মৌলিক পরিবর্তন আনতে চায়। আরজি কর কাণ্ডে সঠিক বিচার, থ্রেট কালচার বন্ধ, এবং দোষীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সংকল্প নিয়েছে তারা।