ব্যুরো নিউজ ১৫ জুন: ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক আবহ গরম করে দিতে তৃণমূল কংগ্রেস কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে। প্রথম ধাপেই দলীয় পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে একুশে জুলাই রেকর্ড জমায়েত। তৃণমূল সূত্রে খবর, এবার ২১ জুলাই শহিদ দিবস উপলক্ষে ধর্মতলায় আয়োজিত সমাবেশে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে। দলীয় কর্মসূচিকে ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে প্রস্তুতি বৈঠক এবং জেলা-ভিত্তিক রোডম্যাপ চূড়ান্ত করা।
ভিড়েই বার্তা বিজেপিকে
শনিবার ভবানীপুরে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের শীর্ষ নেতা-নেত্রীরা, যার মধ্যে ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, সুজিত বসু প্রমুখ। এদিনই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয় একুশে জুলাইয়ের ব্যানার, যেখানে শুধুমাত্র তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকবে। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার বক্তব্য, শহিদ দিবসের লড়াই শুরু হয়েছিল নেত্রীর হাত ধরেই, তাই একমাত্র তাঁর ছবি থাকা-ই যথাযথ।
বনগাঁ কলেজে বাংলাদেশি সভাপতি? নাগরিকত্ব বিতর্কে তুঙ্গে আলোড়ন!
তৃণমূল এবার একুশে জুলাইকে ঘিরে শুধুই আবেগ বা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন নয়, বরং রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে। ২০২৬-এর নির্বাচনের আগে জনমত যাচাই ও কর্মী সমর্থকদের সংগঠিত করে বিজেপিকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়াই মূল উদ্দেশ্য।
বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে সাংগঠনিক প্রস্তুতি। ১৭ জুলাই থেকেই জেলাগুলি থেকে কর্মী-সমর্থকদের কলকাতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। তাঁদের জন্য থাকা-খাওয়ার বিশেষ ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। এই সমাবেশ সফল করতে রেল ও সড়ক পরিবহণ, খাবার, পানীয় জল, মেডিকেল সাপোর্ট ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
🌧️ নতুন সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গে প্রবল বর্ষণের ইঙ্গিত, প্রস্তুত থাকুন!
এইদিন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, সংসদের অধিবেশন থাকলেও তৃণমূলের কোনও সাংসদ ২১ জুলাই দিল্লিতে থাকবেন না। কারণ একুশে জুলাই তৃণমূলের জন্য আবেগ নয়, ইতিহাস। সংসদের আগাম ঘোষণাকে “নজিরবিহীন” বলে কটাক্ষ করেন তিনি।
তৃণমূল নেতৃত্বের মতে, এবারের একুশে জুলাই রেকর্ড জমায়েত হবে শুধুই রাজনৈতিক প্রদর্শন নয়, বরং ভবিষ্যতের লড়াইয়ের জন্য মঞ্চ প্রস্তুত করার প্রধান হাতিয়ার।