ব্যুরো নিউজ ৩০ মে : জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের কাউন্টার-ইন্টেলিজেন্স শাখা শুক্রবার (৩০শে মে, ২০২৫) কাশ্মীরের একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়েছে। সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী যোগসূত্র সংক্রান্ত একটি চলমান তদন্তের অংশ হিসেবে এই তল্লাশি চালানো হয়েছে। এই অভিযান উপত্যকায় শান্তি বিঘ্নিত করার নতুন প্রচেষ্টা রোধে নিরাপত্তা সংস্থাগুলির ক্রমবর্ধমান প্রচেষ্টার অংশ।
অভিযানের বিস্তারিত: কাউন্টার-ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “আজকের এই অভিযানগুলি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার জন্য একটি বৃহত্তর তদন্তের অংশ।” কাউন্টার-ইন্টেলিজেন্স দলগুলি এই অঞ্চলে সক্রিয় সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কগুলির সঙ্গে সম্পর্কিত প্রমাণ বাজেয়াপ্ত করতে গোপনীয় স্থানগুলিতে সমন্বিত অভিযান চালিয়েছে। বিবৃতিটিতে আরও বলা হয়েছে যে, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।
বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি ভারত: ছাড়াল জাপানকে
সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর প্রেক্ষাপট: সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক ঘটনা ঘটেছে যা এই অঞ্চলে শান্তি বিঘ্নিত করার নতুন প্রচেষ্টা সম্পর্কে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কাশ্মীরে সন্ত্রাস-সম্পর্কিত কার্যকলাপ নির্মূল করতে নিরাপত্তা সংস্থাগুলির প্রচেষ্টা বেড়েছে। শুক্রবারের এই অভিযান সেই প্রচেষ্টারই একটি অংশ।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের সময় অভিযান: এই অভিযান এমন এক সময়ে চালানো হলো যখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জম্মু ও কাশ্মীর সফরে রয়েছেন। এটি অভিযানের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
জম্মু প্রদেশে SIA-এর পূর্ববর্তী সফল অভিযান: গত সপ্তাহে, জম্মু প্রদেশের সন্ত্রাসী কাঠামোকে লক্ষ্য করে একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের স্টেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (SIA) চারটি জেলা জুড়ে ১৮টি স্থানে সমন্বিত অভিযান চালিয়েছিল। এর ফলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আপত্তিকর উপাদান উদ্ধার করা হয়।
SIA অভিযানের বিবরণ: SIA জানিয়েছে, “বিশেষায়িত SIA দলগুলি স্থানীয় পুলিশ এবং ম্যাজিস্ট্রেটদের সহায়তায় ১৮টি স্থানে সুপরিকল্পিত তল্লাশি অভিযান চালায়, যা স্লিপার সেলগুলি ভেঙে দেওয়া এবং এই অঞ্চলের সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কগুলিকে ব্যাহত করার জন্য সংস্থার চলমান অভিযানের অংশ।” অভিযান চালানো ১৮টি স্থানের মধ্যে ১২টি ছিল পুঞ্চ জেলার সুরানকোট মহকুমায় এবং তিনটি ছিল হাভেলি তহসিলে। এছাড়াও, রাজৌরি শহর (রাজৌরি জেলা), রাম নগর (উধমপুর জেলা) এবং রামবান-এ একটি করে স্থানে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে আপত্তিকর উপাদান জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠিত আইনি প্রোটোকল অনুযায়ী সুরক্ষিত রাখা হয়েছে।
তদন্তের অগ্রগতি: জব্দ করা উপাদানগুলি বর্তমানে বিস্তারিত পরীক্ষার অধীনে রয়েছে এবং আরও তদন্ত চলছে। বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে SIA জম্মুতে তদন্তে যোগ দিতে তলব করা হয়েছে। SIA-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, “জম্মু প্রদেশের মধ্যে গোপনে সক্রিয় সন্ত্রাসী-সহায়ক কাঠামো উদঘাটন ও নিরপেক্ষ করার জন্য SIA-এর দীর্ঘস্থায়ী প্রচেষ্টার সময় সংগৃহীত কার্যকরী গোয়েন্দা তথ্য এবং ইনপুটের ভিত্তিতে এই পদক্ষেপগুলি নেওয়া হয়েছে।”
