কাকিবো পদ্ধতি

ব্যুরো নিউজ, ১৯ ফেব্রুয়ারি:অর্থ সঞ্চয় করা অনেকের জন্যই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। কিছু মানুষ আছেন যারা খুব সহজে তাদের উপার্জিত অর্থ সঞ্চয়  করতে পারেন, আবার অনেকেই আছেন যারা সারা মাসে নিজেদের খরচ সামাল দেওয়ার পর মাসের শেষে কোনোরকম টাকা হাতে রাখতে পারেন না। যাই হোক, সঞ্চয় করাটাকে আরও সহজ ও কার্যকরী করার জন্য রয়েছে জাপানি ‘কাকিবো’ সঞ্চয় পদ্ধতি, যা কেবল খরচ কমাতে সাহায্য করে না, বরং আমাদের অর্থ ব্যবস্থাপনায় একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে।

পায়ের শিরা উপশিরা ফুলে ওঠা ও শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক এই আসন।আজ থেকেই অভ্যাস করুন

কাকিবো কী?

‘কাকিবো’ একটি জাপানি সঞ্চয় পদ্ধতি, যার আক্ষরিক মানে ‘সংসারের খরচের খাতা’। এটি এমন এক প্রাচীন প্রথা, যা মূলত খরচের হিসাব রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়। বাড়ির বাজেট থেকে শুরু করে বাজার, খাবার, চিকিৎসা, বা যেকোনো দৈনন্দিন খরচ এই খাতায় লেখা হয়। কাকিবো পদ্ধতি খাতার মাধ্যমে খরচের হিসাব রাখার পরামর্শ দেয়, যাতে খরচের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। এই পদ্ধতিটি ১৯০৪ সালে জাপানের প্রথম মহিলা সাংবাদিক হানি মোতোকে প্রবর্তন করেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, খাতায় হিসাব রেখে খরচ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পায় এবং সঞ্চয় করা সহজ হয়।

কাকিবো সঞ্চয়ের ৪টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন:

১. আমার কাছে কত টাকা আছে?
আপনার মাসিক বা বার্ষিক আয় কত, তা আগে জানতে হবে।
২. আমি কতটা সঞ্চয় করতে চাই?
আপনি প্রতি মাসে বা বছরে কত টাকা সঞ্চয় করতে চান, তা লক্ষ্য স্থির করুন।
৩. আমি কতটা খরচ করছি?
মাসের কোন কোন খাতে কত খরচ হচ্ছে, তার একটি তালিকা তৈরি করুন।
৪. আরও বেশি সঞ্চয় করতে কীভাবে পারি?
আপনার খরচ কমিয়ে আরও বেশি সঞ্চয় করার জন্য কী কী পদক্ষেপ নিতে পারেন, তা ভাবুন।

ছাবাঃ ভিকি কৌশল এবং রশ্মিকা মন্দানার কেমিস্ট্রি দর্শকদের মন জয় করেছে, কিন্তু বক্স অফিসে মিশ্র ফলাফল

কাকিবো সঞ্চয়ে সহায়তা করে কীভাবে?

১. সচেতনতা বৃদ্ধি:
বর্তমান যুগে যেখানে অনেক অ্যাপ দিয়ে খরচ হিসাব রাখা হয়, সেখানে কাকিবো হাতে খাতা এবং কলম ব্যবহার করতে বলে। এটি খরচের বিষয়ে গভীরভাবে ভাবতে সাহায্য করে এবং আপনাকে সচেতন রাখে।

২. খরচ ভাগ করে রাখা:
কাকিবো পদ্ধতিতে খরচকে ৪টি ভাগে ভাগ করা হয়। এর মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় খরচ সহজে চিহ্নিত করা যায়:

  • জরুরি খরচ: খাদ্য, ওষুধ, বাসা ভাড়া ইত্যাদি।
  • বিকল্প খরচ: মনোরঞ্জন, কেনাকাটা, রেস্টুরেন্টে খাওয়া ইত্যাদি।
  • সাংস্কৃতিক খরচ: আত্মউন্নয়ন, বই কেনা, সঙ্গীত ইত্যাদি।
  • হঠাৎ প্রয়োজন: জরুরি চিকিৎসা খরচ, মেরামত ইত্যাদি।

যুজবেন্দ্র চাহাল এবং ধনশ্রী বর্মার বিচ্ছেদের গুঞ্জনঃ ৬০ কোটি টাকার খোরপোশের খবর কি সত্যি?

৩. আবেগের খরচ নিয়ন্ত্রণ:
অকারণ কেনাকাটা এবং আবেগী খরচের প্রবণতা কাকিবো নিয়ন্ত্রণ করে। খরচের হিসাব আগে থেকেই ভাগ করা থাকলে, প্রতিটি খাতে কত খরচ হচ্ছে তা খেয়াল রাখা সহজ হয় এবং অযথা কেনাকাটার আগে ভাবনা আসে।

৪. সঞ্চয়ে উৎসাহ:
কাকিবো সঞ্চয়ের জন্য খরচের পরিমাণ নির্ধারণ করার পর, বাকি টাকা সঞ্চয় করার পরামর্শ দেয়। এতে সঞ্চয়ের প্রতি উৎসাহ বাড়ে এবং মানুষ কড়াকড়ি ছাড়া সঞ্চয় করতে সক্ষম হয়।

সঞ্চয়ের এক নতুন পথ

কাকিবো পদ্ধতি শুধুমাত্র খরচ কমানোর উপায় নয়, বরং এটি আপনাকে আপনার অর্থের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে সাহায্য করবে। সঠিকভাবে সঞ্চয় করতে, আপনার খরচের বিষয়টি সঠিকভাবে বুঝে নেওয়া জরুরি। এই পদ্ধতিটি আপনাকে ব্যয় কমানোর জন্য একটি সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান করবে এবং সঞ্চয়ের ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে।এটি একটি প্রাচীন সঞ্চয় কৌশল হলেও, আজও এটি আধুনিক সময়ের মানুষের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর