ব্যুরো নিউজ,১৯ সেপ্টেম্বর:তৃণমূলের রাজ্যসভার পদ থেকে সদ্য পদত্যাগ করেছেন সাংসদ জহর সরকার। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গণকনভেনশনে অংশ নিয়ে তিনি অকপটভাবে স্বীকার করেছেন, সাংসদ হওয়ার সিদ্ধান্তটি তার ভুল ছিল। জহরবাবু বলেন, “হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছি। আমার প্রথমে যাওয়া উচিত ছিল না।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “এটা রাজনৈতিক রং দেওয়ার বিষয় নয়। এটি একটি স্বতঃস্ফূর্ত গণবিক্ষোভের প্রকাশ।”
বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে FIR: সুপ্রিম কোর্টে চলমান শুনানি
“আমার রাজ্য বাংলা থেকে আমি সাফাই আন্দোলন শুরু করব”
জহর সরকার দাবি করেছেন, দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে এক ধরনের কুচক্র-রাজ চলছে। “রাতারাতি কিছু মানুষ বড়লোক হয়ে যাচ্ছে, দাদাগিরি শুরু করছে। আমি বলছি, এটা আগেও হয়েছিল, কিন্তু এখন এমন পর্যায়ে চলে গেছে যেখানে মানুষের সহ্যশক্তির সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ঘরে বাইরে সব জায়গায় অর্থ দিতে হচ্ছে। আমি সিন্ডিকেট বুঝি না, তবে জানি যে দুর্নীতি চলছে এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।”তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকার বিরুদ্ধেও অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “আমি মমতা ব্যানার্জিকে লিখেছিলাম, আগে তো আপনি ঝাঁপিয়ে পড়তেন। এখন কেন সরে যাচ্ছেন?” জহরবাবুর মতে, “আমার রাজ্য বাংলা থেকে আমি সাফাই আন্দোলন শুরু করব।”
পুজোর আগে চোখ-মুখের ফোলা ভাব দূর করুন রইলও এর সমাধান
তার এই বক্তব্য রাজ্যের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে নতুন আলো ফেলছে। জহর সরকার জানিয়ে দিয়েছেন যে, সাধারণ মানুষের প্রতি সরকারের দায়িত্ববোধ এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই অসন্তোষের ফলে রাজ্যের রাজনৈতিক অবস্থান আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।সাংবাদিক সম্মেলনে জহর বলেন, “মানুষের মধ্যে চাপা রাগ এবং ক্ষোভের অনুভূতি রয়েছে। এটি একটি ট্রিগার পয়েন্ট হিসেবে কাজ করেছে।” এর মাধ্যমে তিনি একটি বড় ধরনের সামাজিক পরিবর্তনের আশা প্রকাশ করেন।এই ঘটনার প্রেক্ষিতে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে জহর সরকারের পদত্যাগ রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিয়ে আসতে পারে। রাজ্যের জনসাধারণের মনোভাব এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের আচরণে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা।এখন দেখার বিষয়, জহর সরকারের এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল নেতৃত্বের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হয় এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে এই পরিবর্তন কিভাবে বাস্তবায়িত হয়।