ব্যুরো নিউজ ২২ মে : ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতির মধ্যেই ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে উপত্যকা। জম্মু ও কাশ্মীরে আবারও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে। কিস্তওয়ার জেলায় সেনাবাহিনীর অভিযানে দুইজন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। পুরো এলাকা ঘিরে রেখে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। এই ঘটনা জঙ্গি দমনে নিরাপত্তা বাহিনীর আরও একটি সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

কিস্তওয়ারে এনকাউন্টার ও পরিস্থিতি

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২২শে মে, ২০২৫) সকাল ৭টা নাগাদ কিস্তওয়ার জেলার ছাতরোর সিংপোরা এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই শুরু হয়। গোয়েন্দা সূত্রে খবর ছিল, ওই এলাকায় ৩-৪ জন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে। তাদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনী ইতিমধ্যেই ২ জনকে খতম করতে সক্ষম হয়েছে। বাকিদের খোঁজে অভিযান চলছে।

‘অপারেশন সিঁদুর’ এর সর্বদলীয় প্রতিনিধিদলে থাকছেন না ইউসুফ পাঠান, তৃণমূল সাংসদের সিদ্ধান্ত

পহেলগাঁও হামলার পর জোরদার অভিযান

উল্লেখ্য, গত ২২শে এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় ২৫ জন পর্যটক ও এক কাশ্মীরির মৃত্যুতে গোটা দেশ ফুঁসে উঠেছিল। এর পরপরই নিরাপত্তা বাহিনী জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি দমন অভিযান কোমর বেঁধে শুরু করে। একাধিক এলাকাজুড়ে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।

পহেলগাঁও হামলার পর কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে। সম্প্রতি, শোপিয়ানে একটি এনকাউন্টার হয় এবং পুলওয়ামার ত্রালেও গুলির লড়াই চলে। এই দুটি ঘটনায় মোট ছয়জন জঙ্গিকে খতম করে নিরাপত্তা বাহিনী। আজকের অভিযানে আরও দু’জন জঙ্গি নিকেশ হওয়ায় খতম হওয়া জঙ্গির সংখ্যা আরও বাড়ল।

কলকাতায় তিরঙ্গা যাত্রা ,বিএসএফ জওয়ান মুক্তি, ভুয়ো খবর দমন, সন্ত্রাসবাদ নিপাতন : মোদীর নেতৃত্বে দেশ সুরক্ষিত দাবি শুভেন্দু অধিকারীর

ভারত-পাক সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ

পহেলগাঁও হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারত কূটনৈতিক স্তরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করে। দেশজুড়ে জঙ্গি হামলার বদলা নেওয়ার দাবি ওঠে। এর প্রেক্ষিতে গত ৭ই মে মধ্যরাতে ভারত পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের ৯টি জায়গায় জঙ্গি শিবির গুঁড়িয়ে দেয়, যার নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’। ভারতের এই অভিযানে পাকিস্তান পর্যদুস্ত হয়।

এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় সময় অনুযায়ী বিকেলে আমেরিকার তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন যে, ভারত ও পাক সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়েছে। তার পরপরই বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়, পাকিস্তানের আবেদনে সাড়া দিয়ে সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়েছে ভারত।

জাতিকে উদ্দেশ করে ভাষণে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাফ জানিয়েছিলেন, পাকিস্তানের কার্যকলাপের উপর সর্বদা নজর রাখা হবে। নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল ভারত সহ্য করবে না। পাশাপাশি, মোদী এ-ও জানিয়েছিলেন, পাকিস্তান আলোচনার টেবিলে এলে শুধু পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং সন্ত্রাসবাদ নিয়েই কথা হবে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর