INSAS F combat module

ব্যুরো নিউজ ২৪ জুন : ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক দেশের সীমান্ত সুরক্ষা জোরদার করার লক্ষ্যে প্রায় ২,০০০ কোটি টাকার একটি জরুরি সংগ্রহ তহবিল অনুমোদন করেছে। এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য হল জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলে সশস্ত্র বাহিনীর অভিযানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং তাদের উদ্ভূত হুমকি মোকাবিলায় সজ্জিত করা। সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর অভিযানিক প্রস্তুতি বাড়াতে মন্ত্রক জরুরি সংগ্রহ ব্যবস্থার অধীনে ১,৯৮০ কোটি টাকার ১৩টি চুক্তি সম্পন্ন করেছে।

সংগ্রহ করা উপকরণের তালিকা ও উদ্দেশ্য

জরুরি সংগ্রহের মাধ্যমে দ্রুত গতিতে সম্পন্ন হওয়া এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল সন্ত্রাস-বিরোধী পরিবেশে মোতায়েন করা সৈন্যদের জন্য পরিস্থিতিগত সচেতনতা, মারণ ক্ষমতা, গতিশীলতা এবং সুরক্ষা বৃদ্ধি করা। দ্রুত ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এই সংগ্রহগুলি সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। যে সকল অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহ করা হবে তার একটি তালিকা নিচে দেওয়া হলো:

  • ইন্টিগ্রেটেড ড্রোন ডিটেকশন অ্যান্ড ইন্টারডিকশন সিস্টেমস (IDDIS)
  • লো-লেভেল লাইটওয়েট রাডারস (LLLR)
  • ভেরি শর্ট রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমস (VSHORADS)- লঞ্চার এবং মিসাইল
  • রিমোটলি পাইলটেড এরিয়াল ভেহিক্যালস (RPAVs)
  • লয়েটারিং মিউনিশন, যার মধ্যে ভার্টিক্যাল টেক-অফ অ্যান্ড ল্যান্ডিং (VTOL) সিস্টেমও অন্তর্ভুক্ত
  • বিভিন্ন শ্রেণীর ড্রোন
  • বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট (BPJs)
  • ব্যালিস্টিক হেলমেট
  • কুইক রিঅ্যাকশন ফাইটিং ভেহিক্যালস (QRFVs) – ভারী ও মাঝারি

    বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি ভারত: ছাড়াল জাপানকে

আত্মনির্ভরতা ও দেশীয় প্রযুক্তির ব্যবহার

একটি বিশেষ ভিডিওতে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে আত্মনির্ভরতার মাধ্যমে ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র ও সরঞ্জাম স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। এই দেশীয়ভাবে তৈরি সিস্টেমগুলি ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা উৎপাদন শক্তি এবং ‘আত্মনির্ভর ভারত’ উদ্যোগের প্রতি অঙ্গীকার প্রতিফলিত করে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে, সেনাবাহিনী ৪.২৫ লাখের বেশি কারবাইন পেতে চলেছে, যা ডিআরডিও (DRDO) এবং ভারত ফোর্জের সহযোগিতায় দেশীয়ভাবে তৈরি করা হবে।

আধুনিক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি

ডিআরডিও-এর আর্মারমেন্ট রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এস্টাবলিশমেন্ট (ARDE)-এর পরিচালক এ রাজু জানিয়েছেন যে, মোট ৪৫০টি নাগাস্তারা-১আর (Nagastra-1R) ড্রোন সংগ্রহ করা হচ্ছে। এই ড্রোনগুলি দ্বৈত উদ্দেশ্যে কাজ করবে, অর্থাৎ নজরদারি ড্রোন এবং লয়েটারিং মিউনিশন (আত্মঘাতী ড্রোন) উভয় হিসেবেই ব্যবহৃত হবে। সোলার ইন্ডাস্ট্রিজের নাগাস্তারা-১আর প্রকল্পের পরিচালক রাহুল দীক্ষিত বলেছেন যে, ভবিষ্যতে কৌশলগতভাবে ভিন্ন এবং আধুনিক যুদ্ধরীতি প্রাধান্য পাবে, এবং সেই অনুযায়ী ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সজ্জিত করা হচ্ছে। এই আধুনিকীকরণের অংশ হিসেবে প্রায় ১২০টি সুইচ ড্রোন সংগ্রহ করা হচ্ছে। এই ড্রোনগুলি ১৩৭ কোটি টাকা আনুমানিক ব্যয়ে তৈরি করা হবে, যা সেনাবাহিনীর নজরদারি এবং যুদ্ধ ক্ষমতাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।

‘দক্ষিণায় পাক অধিকৃত কাশ্মির চাই’: সেনাপ্রধানকে জগদ্গুরু রামভদ্রাচার্য্যের স্পষ্ট বার্তা

যুদ্ধক্ষেত্রের গতিশীলতায় পরিবর্তন

 এই ধরনের সরঞ্জামের সংগ্রহ পদাতিক স্তরের সৈন্যদের প্রয়োজনীয় বিমান সহায়তা, হালকা বহনযোগ্য নজরদারি ড্রোন, ব্যাকপ্যাক হালকা রাডার দ্বারা পরিচালিত বহনযোগ্য লয়েটারিং মিউনিশন (শত্রু লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে) এবং কাঁধ থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র (যেকোনো ক্ষমতার শত্রু বিমানকে ভূপাতিত করতে) প্রদান করবে। এটি যুদ্ধক্ষেত্রের গতিশীলতাকে সম্পূর্ণরূপে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর অনুকূলে পরিবর্তন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই পদক্ষেপগুলি ভারতের সীমান্ত সুরক্ষা এবং আধুনিক যুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর