ব্যুরো নিউজ,২৮ ডিসেম্বর:আফ্রিকা থেকে আনা চিতাদের নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল। বিশেষ করে, ভারতের আবহাওয়ার সঙ্গে তারা মানিয়ে নিতে পারছে না। আফ্রিকার শুকনো সাভানার পরিবর্তে মধ্যপ্রদেশের বর্ষা এবং আদ্র আবহাওয়া তাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে, শিকার হওয়ার পাশাপাশি তারা বিভিন্ন সংক্রমণের শিকার হয়েছে। তবে, ২০২৪ সালের প্রথম মাসেই নরেন্দ্র মোদী সরকারের পরিকল্পনায় আবারও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ২০টি চিতা আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, বলে জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশ বন দফতর সূত্র।
কলকাতা থেকে ফুকেটঃ ইন্ডিগোর নতুন উড়ান রুট, বেড়ে যাচ্ছে পর্যটন সংযোগ!
কোথায় রাখা হবে?
তবে এবার কুনো জাতীয় উদ্যানের পরিবর্তে তাদের নতুন বাসস্থান হবে গান্ধীসাগর জাতীয় উদ্যান।২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নামিবিয়া থেকে প্রথম আটটি চিতা ভারতে আনা হয়েছিল এবং কুনো জঙ্গলে তাদের মুক্ত করে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পর ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আরও ১২টি চিতা আনা হয়। পরে তাদের মধ্যে ১২টি শাবক জন্ম নেয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এ পর্যন্ত পূর্ণবয়স্ক এবং শাবক মিলিয়ে ১১টি চিতার মৃত্যু হয়েছে, যা চিতাদের ভারতের আবহাওয়ার সঙ্গে মানানসই হতে না পারার বিষয়টি সামনে আনে। এই পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার জন্য, ব্রিটেন এবং আমেরিকার কিছু বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া হয়েছিল। তারা জানিয়েছিলেন, উত্তর আফ্রিকা থেকে চিতা আনা হলে তা ভারতের আবহাওয়ার জন্য উপযুক্ত হবে। তবে আপাতত এই সুপারিশ কার্যকর করা হয়নি বলে সরকারি সূত্র জানাচ্ছে।
সলমন খানের ৫৯তম জন্মদিনঃ নিরাপত্তায় ঘেরা পার্টি, বাইরের কেউ ডাক পেয়েছেন?
মধ্যপ্রদেশ বন দফতর জানিয়েছে, গান্ধীসাগর জাতীয় উদ্যানের একটি অংশ চিতাদের থাকার জন্য উপযুক্ত করে তোলার কাজ প্রায় শেষ। তাদের খাদ্যের জন্য চিতল হরিণের দলও আনা হয়েছে। প্রথম ধাপে, কুনো থেকে একটি মা চিতা এবং তার দুই সন্তান গান্ধীসাগরে নিয়ে যাওয়া হবে। কুনো থেকে গান্ধীসাগরে পৌঁছাতে ৬ ঘণ্টা সময় লাগবে। ৩৬৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে চিতাদের জন্য আবাসস্থল তৈরি করা হয়েছে, যা ২,৫০০ বর্গকিলোমিটার বাফার অঞ্চলের মধ্যে থাকবে। এই বাফার অঞ্চলে কুনো এবং গান্ধীসাগরের মধ্যবর্তী এলাকার মাধব জাতীয় উদ্যানও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।