ব্যুরো নিউজ , ১৬ ফেব্রুয়ারি:ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই একেবারে আলাদা ধরনের উত্তেজনা। দুই দেশের ভক্তরাই চান, তাঁদের প্রিয় দল এই মর্যাদার ম্যাচে জয়ী হয়ে মাঠ ছাড়ুক। তবে পাকিস্তান দলের সহ অধিনায়ক সলমন আলি আঘা জানিয়েছেন, ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতাই একমাত্র লক্ষ্য নয়। তাঁদের আসল লক্ষ্য হলো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়। সলমন বলছেন, “ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ কেবল একটি ম্যাচ, কিন্তু দলের মূল লক্ষ্য অবশ্যই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় করা। শুধু কোনও একটা ম্যাচ জয় করেই আমরা সন্তুষ্ট হতে পারি না।”
জানুন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাস
মিনি বিশ্বকাপ
দুদিন পরেই শুরু হচ্ছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এবারে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই মিনি বিশ্বকাপ, যেখানে ভারতের ম্যাচগুলো হবে দুবাইতে। এর মধ্যে ১৯ তারিখ প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে পাকিস্তান। তবে সলমন আলি আঘা স্পষ্টভাবে বলছেন, “আমি অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত যে পাকিস্তানে এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করা হচ্ছে। আমি লাহোরের ছেলে, তাই সেখানে যদি আমরা ট্রফি জিততে পারি, তা হবে আমার জন্য এক স্বপ্নপূরণের মতো। আর এবারের পাকিস্তান দলেও সেই ক্ষমতা রয়েছে যে তারা এই ট্রফি জিততে পারে।”
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে যে বিশেষ উত্তেজনা থাকে, সে ব্যাপারে সলমন আরও বলেন, “ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে পরিবেশ পুরো বদলে যায়। এই ম্যাচের গুরুত্ব বিশ্বব্যাপী বোঝা যায়, এজন্যই এটা মেগা ম্যাচ হিসেবে পরিচিত। তবে, এটা ভুলে গেলে চলবে না যে, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ শুধু একটি ম্যাচ, কিন্তু আমাদের আসল লক্ষ্য হলো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় করা, শুধুমাত্র একটি ম্যাচ জেতা নয়।”সলমন আরও জানান, “যদি ভারতকে হারিয়েও আমরা ট্রফি না জিততে পারি, তাহলে তার কোনও অর্থ নেই। কিন্তু যদি ভারতকে হারিয়েও আমরা ট্রফি জিততে পারি, তাহলে সেটাই হবে বড় সাফল্য। তবুও, আমরা অবশ্যই ভারতকে হারাতে চাইব এবং মরিয়া হয়ে খেলব।” সলমন আরও বলেন, “আমিও নিজের সেরা পারফরম্যান্স দিতে চেষ্টা করব ভারতের বিপক্ষে।”
ইংল্যান্ড শিবিরে খুশির ঝলক বেন ডাকেটের ফিট হওয়ায়
এদিকে, পাকিস্তানের স্পিনার আব্রার আহমেদকেও একটি পডকাস্টে প্রশ্ন করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি ডেভিড মিলারের বিরুদ্ধে কেমন বল করেছেন। আব্রার জানান, “ডেভিড মিলার আমার বোলিং খুব ভালোভাবে খেলছিল। আর অন্যান্য ব্যাটারদের বিরুদ্ধে আমার বোলিং তেমন সফল হয়নি। তবে মিলারকে আটকাতে আমাকে ডট বল করতে হয়েছিল যাতে সে কোনও ভুল করে আর আমি উইকেট নিতে পারি।”ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ শুধু সম্মান রক্ষার জন্য নয়, বরং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। সলমন আলি আঘা ও তাঁর দল পুরোপুরি প্রস্তুত, এবং তাঁরা বিশ্বমঞ্চে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে চান।