ব্যুরো নিউজ ,৮ মে: বৃহস্পতিবার রাতজুড়ে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত পরিণত হয়েছে যুদ্ধক্ষেত্রে। পাকিস্তানের দিক থেকে ছোড়া একাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হানা চালানো হয় জম্মু, পঞ্জাব ও রাজস্থানের সীমান্তবর্তী এলাকায়। পাল্টা জবাবে ইসলামাবাদ, লাহোর ও শিয়ালকোটে আঘাত হানে ভারতীয় সেনা।
কার্যত অন্ধকারে ডুবে যায় এলাকা
সীমান্তবর্তী শহর পাঠানকোট, যেটি জম্মু ও কাশ্মীরের প্রবেশদ্বার, সেখানে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র এসে পড়ে রাতের অন্ধকারে। সঙ্গে সঙ্গেই শহরজুড়ে ‘ব্ল্যাকআউট’ ঘোষণা করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় আলো, কার্যত অন্ধকারে ডুবে যায় এলাকা।পঞ্জাবের চণ্ডীগড় শহরে সাইরেন বাজিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নাগরিকদের সতর্ক করে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। আমৃতসরেও একইভাবে আলো নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। এমনকি গুজরাতের কচ্ছেও পৌঁছেছে পাক ক্ষেপণাস্ত্র, সেখানে রাতভর চলেছে সতর্কতা।
রাজস্থানের ফালোড়ি বায়ুসেনা ঘাঁটির ২০ কিমি দূরে পাকিস্তানের একটি ড্রোনকে গুলি করে নামিয়েছে ভারতীয় বাহিনী। পোখরানে ছোড়া পাক ক্ষেপণাস্ত্রকে মাঝ আকাশে সফলভাবে নিষ্ক্রিয় করেছে ভারতের এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, “সুদর্শন চক্র”।জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরিতে শোনা গিয়েছে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ। উরি সেক্টরে মর্টার হামলা অব্যাহত থাকলেও ভারতীয় সেনা শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। দক্ষিণ কাশ্মীরের খুদরু অর্ডিন্যান্স ডিপো ও জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়েতেও বিস্ফোরণের খবর মিলেছে।
এ পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অবহিত করা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ফোনে পরিস্থিতি জানিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং সিডিএস অনিল চৌহানও বিষয়টি ঘনিষ্ঠভাবে নজরে রাখছেন।ভারতের জবাব ছিল তৎপর এবং কড়া। ইসলামাবাদ, লাহোর, ও শিয়ালকোটে নিশানা করে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ভারতীয় সেনা। প্রতিরক্ষা সূত্র জানাচ্ছে, পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনায় যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এই সংঘাতের জেরে সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। সেনা, বায়ুসেনা ও নৌসেনা—তিন বাহিনীই প্রস্তুত রয়েছে। দেশের বিভিন্ন সেনাঘাঁটিতে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।বর্তমানে গোটা দেশের চোখ সীমান্তে। সাধারণ মানুষের মনে উদ্বেগ বাড়ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার ও সেনাবাহিনী।ভারত পরিষ্কার বার্তা দিয়েছে—প্রত্যেক হামলার যোগ্য জবাব দেওয়া হবে।