ব্যুরো নিউজ,৫ ফেব্রুয়ারি :১৯ নভেম্বর ২০২৩-এ এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে গিয়েছিল ভারত। ৪৭১ দিন পর সেই অস্ট্রেলিয়াকেই হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে উঠল রোহিত শর্মার দল। দুবাইয়ে সেমিফাইনালে ১১ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে জয় পেল ভারত।
সমালোচনার জবাব দিলেন গম্ভীর, রোহিত-কোহলির পাশে ভারতীয় কোচ
শামি-বরুণের দুর্দান্ত বোলিং
প্রথমে বল হাতে ভারতকে এগিয়ে দেন মহম্মদ শামি ও বরুণ চক্রবর্তী। ট্রেভিস হেড, যিনি ভারতের কাছে বরাবরই মাথাব্যথার কারণ, তাঁকে ৩৯ রানে ফিরিয়ে দেন বরুণ। এরপর জাডেজা ও অক্ষর পটেলের স্পিনে চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ লড়াই চালালেও শামির দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে যান ৭৩ রানে। শামি ম্যাচে নেন ৩ উইকেট।
অ্যালেক্স ক্যারে যখন অর্ধশতরান করে খেলছিলেন, তখন মনে হচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া ২৮০-র বেশি করবে। কিন্তু শ্রেয়স আয়ারের দুর্দান্ত থ্রোতে রান আউট হন ক্যারে, যার ফলে অন্তত ২৫ রান কম হয় অস্ট্রেলিয়ার স্কোর।রান তাড়া করতে নেমে ওপেনাররা আবার ব্যর্থ হন। শুভমন গিল ৮ রান ও রোহিত শর্মা ২৮ রান করে ফেরেন। এরপর হাল ধরেন বিরাট কোহলি ও শ্রেয়স আয়ার। দু’জনের ৯১ রানের জুটিতে এগিয়ে যায় ভারত।
স্মৃতিশক্তি কমে যাচ্ছে কোন অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসের জন্য জেনে নিন
শ্রেয়স ৪৫ রান করে আউট হলেও কোহলি লড়াই চালিয়ে যান।কোহলিকে সঙ্গ দেন অক্ষর পটেল (২৭) ও লোকেশ রাহুল (৪২*)। হার্দিক পান্ডিয়া ২৪ বলে ২৮ রান করে কাজ সহজ করেন। কোহলি ৮৪ রানে আউট হলেও রাহুল ছক্কা মেরে জয় নিশ্চিত করেন।অস্ট্রেলিয়া ফিল্ডিংয়ে একাধিক ভুল করেছে। রোহিত ও কোহলির ক্যাচ ছেড়েছে তারা। এই ভুলেরই খেসারত দিল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দল। ৪৭১ দিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পৌঁছল ভারত।
