ব্যুরো নিউজ, ১৯ ফেব্রুয়ারি: ৪৩৪ রানে ইংল্যান্ডকে তৃতীয় টেস্টে হারিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট দল বুঝিয়ে ফিল বাজবল তারাও জানেন বরং ইংল্যান্ড ক্রিকেটাররাই তা ঠিকঠাক মতো প্রয়োগ কোর্টে পারলো না। বাস্তবে ১৯৩৪ সালের পরে এতো বড় রানের ব্যবধানে ইংল্যান্ড পরাস্ত হয়নি। ওপর দিকে, রান সংখ্যার দিক থেকে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ভারতের সর্ব বৃহৎ জয়। এ জয়ের পেছনে নিঃ সন্দেহে জার নাম উঠে আসবে তিনি যশস্বী জয়সওয়াল। রান করেছেন ২১৪ ( নটআউট)। সেঞ্চুরি করে ভারতকে রানের পাহাড় তৈরি করতে যারা সাহায্য করেছেন তাদের মধ্যে অধিনায়ক হিটম্যান রোহিত শর্মা। নবাগত সারফারাজ খান যিনি প্রথম ইনিংসে ৬০-এর গণ্ডী টোপকে জাদেজার ভুল কলিং-এ রান আউট হন। সারফারাজ খান দ্বিতীয় ইনিংসেও ৬৮ নটআউট রয়ে গেছেন। যশস্বী তৃতীয় ভারতীয় যিনি টেস্টে টানা ২ টি ডবল সেঞ্চুরি করেছেন। তার আগে ১৯৯৩ সালে করেছিলেন বিনোদ কামলি। আর ২০১৭ সালে বিরাট কোহলি। আর বাজবল ইংল্যান্ডকে শিখিয়ে যশস্বী কার্যত বুঝিয়ে দিয়েছেন কম বয়সী হলেও কোনও মারই বাদ যায়নি তার ব্যাটে। ২১৪ নটআউট রানে যশস্বী ১২ টি ৬ মেরেছেন। দনব্রেডম্যান বিনোদ কামলির পরে তিনি বয়সী তৃতীয় কনিষ্ঠ জার বাইট ২ টি ডবল সেঞ্চুরি এসেছে। এখন তার বয়স ২২ বছর ৫২ দিন।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা-হেনস্থা! আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দুর আইনজীবী
বাজবলের অহংকার ভেঙে চুরমার
শুভমান গিল তার ব্যাটে অনেক দিনই বড় রান পাচ্ছেন না। তবে, ইংল্যান্ডের সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে আউট হয়ে গেলেন ৯১ রানে। তাও সিদ্ধান্তের ভুলে রান আউট। আশা করা যায়, এরপর রান আসবে শুভমানের ব্যাট থেকে। শুভমানের রান আউট মেনে নিতে পারেন নি সুনিল গাভাস্কার। তবে, ব্যাটারদের ওই বিপুল রানের বোঝা দেখেই অর্ধেকটা পরাজয়ের গন্ধ ইংল্যান্ড আগেই পেয়ে গেছিল। জোরুটের মতো নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান যিনি ইংল্যান্ডের ভরসার জায়গা তিনি বুমরাকে রিভার্স স্কুপ মারতে গিয়ে যেভাবে উইকেট দিলেন তার এখন তিনি নিজের দেশে ভিলেন বনে গেছে। কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম বলেছেন, এভাবে রিভার্স স্কুপ খেলোনা। অন্তত ভারতের ওই বোলারদের তো নয়ই। ফিরে আসতে হচ্ছে সেই যশস্বীর দিকে। তৃতীয় দিনে, ব্যাট করতে নেমে সেঞ্চুরির পরেই পিঠের ব্যথায় আহত হয়ে মাঠের বাইরে চলে যান। তারপর থেকে সারা রাত চিকিৎসা ও বিশ্রাম নেওয়ার পর ফ্রেস হয়ে ব্যাট হাতে নেমে ভারতকে উপহার দেন ডবল সেঞ্চুরি। তখন যশস্বী সেট হয়ে গিয়েছিলেন। তাই আহত হয়েও মাঠে ফিরে আসতে চাইছিলেন। কিন্তু অধিনায়ক তাঁকে ওই দিনটা বিশ্রাম নিতে বলেন। পরে ব্যাট করতে নেমে যা হল তা ইতিহাস। তবে ইংল্যান্ডের সময়টা সত্যি খারাপ হাচ্ছে। কারন, আণ্ডারসানের মতো পেসার সেভাবে দাগ কাটতেই পারলনা। উইকেট পেলেন না উড। বরং তাদের দুরমুশ করে ছাড়ল যশস্বী, রোহিত, সারফারাজ, শুভমানরা। ইংল্যান্ড ব্যাটারদের মধ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ জন ব্যাট করতে নেমে ১০ রানের গণ্ডী পেরোতে পারেনি। তাদের যে মনোবল তলানিতে সেটা বোঝা গিয়েছিল মাঠের ব্যাট হাতে তাদের মার্চপাস্ট দেখে। ভারতের স্পিনার জাদেজা, অশ্বিন অ কুলদিপকে সামলাতে হিমশিম খেয়েছে ইংল্যান্ড। পরবর্তী ২ টি টেস্টে কী হবে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন আমূল বদলাতে না পারলে ভাগ্যে দুঃখ আছে ইংল্যান্ডের। ইভিএম নিউজ